স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি: হাইকোর্ট

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ। ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে স্থানে যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে সেই স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ এবং বক্তব্যরত বঙ্গবন্ধুর আঙুল উঁচানো ভাস্কর্য কেন নির্মাণ করা হবে না-রুলে তা জানতে চেয়েছে আদালত।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, গণপূর্ত সচিব, সংস্কৃতি সচিবকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ রুলের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা ১২ ডিসেম্বর আদালতকে জানাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুনানিকালে আদালত বলেন, শুধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছেন তা নয়, এখানে আত্মসমর্পণ হয়েছে, ভারতের তৎকালীন প্রধানমনত্রী ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সেখানে যাতে ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকতে না পারে, সেজন্য শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময় আইনজীবী ড. বশির আহমেদ বলেন, এক মাসের মধ্যে সরকার যেন একটি প্রকল্প নেয়। তখন আদালত বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে রুল দিচ্ছি।

ড. বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন বলেন, ১৯৫ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আহ্বান সংবলিত এ ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেস্কো ঘোষিত ৪২৭টি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিমকোর্টও দেশের ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন আদেশ দিয়েছেন। এ কারণে জনস্বার্থে আমি রিট দায়ের করি। আদালত রুল জারি করেছে। স্থানটি যদি শিশুপার্কেও হয়, সেখানে মঞ্চ নির্মাণ করতে হবে। আইনজীবী ড. বশির আহমেদ রিটের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নিয়েছে ইউনেস্কো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *