নোবিপ্রবি ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সফটওয়্যার বিষয়ক’ সেমিনার

নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের অংশ গ্রহণে দিনব্যাপী ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক’ দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ নোবিপ্রবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। নোবিপ্রবির বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে আইকিউএসি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোঃ মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আরএসপি বিভাগের পরিচালক ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন, নোবিপ্রবি আইকিউএসি’র পরিচালক ও মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং ইউজিসির সহকারী সচিব (লিগ্যাল) জনাব মোহাম্মদ শোয়াইব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ভাষার মাসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। যে কোনো অভিযোগের ক্ষেত্রে তা সঠিক কিনা তা আগে যাচাই করতে হবে। মানুষের কর্মের ওপর তাদের ভালো থাকা নির্ভর করে। আমরা যা অর্জন করতে চাই তাতে যদি স্বচ্ছতা না থাকে তাহলে প্রকৃত ফল লাভ করা সম্ভব নয়। নিজে স্বচ্ছ না থাকলে অভিযোগ কখনো কমবে না। অভিযোগ করার আগে নিজেকে সংশোধন করা উচিৎ। কর্মদক্ষতা এবং সততার সাথে পেশাগত ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সবার কাজ যেন সবাই ঠিকমতো করি, ধৈর্য রাখি আর নিজেদের গুণগুলোকে কাজে লাগাই। আজকের অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, আমরা যদি সঠিক সময়ে কাজ করি তাহলে কোন অভিযোগ অথবা কোন প্রতিকারের প্রয়োজন হবে না। মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে পারলে আমরা দেশের জন্য অবদান রাখতে পারবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন তাতে আমরাও অবদান রাখতে পারবো। সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের। সেই সাথে স্মরণ করছি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের। আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের কিছু প্যারামিটার অনুসরণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা বজায় রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা যদি অভিযোগ নির্দিষ্ট জায়গায় না দিই তাহলে সমাধান হওয়ার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে যাবো, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। নতুন জ্ঞান সৃজন করা, জ্ঞান বিতরণ করা এবং সেই জ্ঞানকে ধারণ করাই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। কিছু কিছু জ্ঞান নিজেদের মাঝে শেয়ার করার পাশাপাশি অংশীজনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদেরকে স্মার্টনেসের ৪টা কৌশল অবলম্বন করতে হবে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে এবং সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। তাহলেই মাননীয় প্রধনমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *