নোয়াখালী-২ আসনে সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর-গুলিবর্ষণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে সতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিকের (কাঁচি) মার্কার সমর্থক আবদুর রহমান নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে রবিবার দুপুর সেনবাগ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছে সতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নৌকার সমর্থকদের দায়ী করছেন। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের সমর্থক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক। সংবাদ সম্মেলনে সতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকরা সেনবাগ থানার ওসির অপসারণ দাবি করছেন। তারা বলেন পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের অভিযোগ, শনিবার রাত ৮টার দিকে ৫০/৬০ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের পর বাড়ির দরজা-জানালার কাচ ও ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের পর লুটপাট ও সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে গেছে। পুলিশকে গুলির খোসাসহ হামলার সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক জানান, ‌সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের ছেলের নেতৃত্বে হেলমেট বাহিনী তার গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ব্যাপক হাতবোমার বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে তারা। পরে চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ করে তাণ্ডব চালায়। নির্বাচনকে বানচাল করতে এবং ভোটারদের কেন্দ্রে না আসতে তারা এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রবিবার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন সতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক। সংবাদ সম্মেলনে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সেনবাগের সাবেক মেয়র টিপু ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ, আওয়ামীলীগ নেতা শিহাব উদ্দিন সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেনবাগে সন্ত্রাস ও অবৈধ অস্ত্রের মহড়া চলছে বলে সতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থক অভিযোগ করেন।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের (নৌকা) ছেলে সাইফুল আলম দিপু জানান, ঘটনার সময় তিনি ওই এলাকায় ছিলেন না। কারা এ হামলা করেছে তাও জানা নেই। নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আবদুর রহমান চেয়ারম্যানের বাড়িতে তার কোন লোকজন হামলা করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব জানান, হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করাহবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *