রাজারহাটে আবার রাক্ষুসে হয়ে উঠছে তিস্তা নদী

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১৯ জুন, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা নদী পাড়ের লোকদের মাঝে ভাঙ্গন আতংক দেখা দিয়েছে। আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে বাদাম, শাক-সবজি, কাউন ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেকে।

জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে রাক্ষুসে তিস্তার কড়াল গ্রাসে শতশত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তিস্তা নদীর তীরবর্তী রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ, ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ও নাজিমখান ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের লোকজন ভাঙ্গন ও পানিবন্দী সহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবারেও নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

গত ৩দিন ধরে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ, চরবিদ্যানন্দ, গাবুরহেলান, তৈয়বখাঁ, রামহরি, রতি, চতুরা মৌজা, ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের চরখিতাবখাঁ, সরিষাবাড়ি, বুড়িরহাট, কালির মেলা, গতিয়াশাম মৌজা, নাজিমখাঁন ইউনিয়নের সোমনারায়ন ও হাসারপাড় মৌজার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গছে। ফলে শতশত বিঘা ফসলি জমি চলে যাচ্ছে নদী গর্ভে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গনে চতুরা গ্রামের আয়নাল হক, আহাম্মদ মুন্সি ও আব্দুর রেজ্জাক সহ ১২টি পরিবার গৃহহারা হয়েছেন।

চতুরা গ্রামের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ আয়নাল হক (৬৫) জানান,“একবার নয়, এই নিয়্যা তিন তিনবার মোর চৌদ্দ পুরুষের ভিটাবাড়ি নদী নিয়্যা গেল”। নদী ভাঙ্গনের শিকার ওই গ্রামের আহম্মদ আলী (৫৯) জানান,“আমরা সাহায্য চাইনা,নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান চাই।

কুড়িগ্রাম পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, প্রস্তাবনা পাঠানো আছে, অনুমোদন হয়ে আসা মাত্র ভাঙ্গন প্রবন স্থান গুলোতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নদী ড্রেজিং ও বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনা নেয়া আছে বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *