মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদী ভাঙন, হুমকির মুখে শহরের শত শত স্থাপনা

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ০৪ আগস্ট, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর লঞ্চঘাট এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের ৪০ মিটার এলাকা শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে মাদারীপুর শহরের শত শত স্থাপনা। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ফালানো হচ্ছে বালুর বস্তা।

স্থানী সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর শহর রক্ষা বাঁধের লঞ্চঘাট এলাকার ওয়াক ওয়ের ৪০ মিটার এলাকা ঈদের দিন শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে হঠাৎ করে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে হুমকির মুখে রয়েছে মাদারীপুর শহরের শত শত বসতবাড়ি। আতঙ্গে রয়েছে শহরবাসী। নদীর পাড়ের বহু মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে মালামাল নিয় অন্যত্র চলে গেছে।

লঞ্চঘাটের উত্তর পাশে সবুজ বাগ এলাকার আরো একটি নদীতে গোসলের ঘাটে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে শহর রক্ষা বাঁধ, ওয়াক ওয়ে এবং গোসলেরর ঘাটটি। এ অংশে ভাঙন ধরলে মুহূর্তের মধ্যেই পানি প্রবেশ করবে পুরো মাদারীপুর শহরে এবং তলিয়ে যাবে শহর। ইতিমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. ওবাইদুর রহমান খান, পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।

ভাঙ্গন রোধে শনিবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার সাতশত বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে শিগগিরই টেকসই বেরিবাঁধ নির্মাণ ও ডাম্বিং কার্যক্রম শুরু না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন জিও ব্যগ ফালানোর কার্যক্রম। ভাঙন কবলিত স্থানে জনগনের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় শহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে নদীর ভাঙনে শহর রক্ষা বাঁধ এবং ওয়াক ওয়ে ভেঙে গেছে। আমার বাড়ির কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা খুব আতঙ্গের মধ্যে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে যেন দ্রুত স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা হয় সেই দাবি জানাই।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধ এবং ওয়াক ওয়ের একাংশ নদীতে হঠাৎ করে ভেঙে গেছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। শনিবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এক হাজার সাতশত বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ভাঙনের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *