বেগমগঞ্জে অস্ত্রসহ সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান ও হত্যা মামলার আসামি আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ২৭ অক্টোবর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম হোসেন ও হত্যা মামলায় পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে আটক আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক সাদ্দাম হোসেন (২৯) উপজেলার কোটরা মহব্বতপুর এলাকার সায়েদুল হকের ছেলে এবং আটক হাবিবুর রহমান উপজেলার তুলাচারা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।

পুলিশ বলছে, আটককৃতদের কাছ থেকে দু’টি দেশীয় পাইপগান ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার। তিনি আরো জানান, সোমবার রাতে কোটরা মহব্বতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি মামলার আসামি সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়। শেষে তার তথ্য মতে একটি দেশীয় পাইপগান ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

একই দিন রাতে উপজেরার তুলাচারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামি হাবিবুর রহমানকে একটি দেশীয় পাইপগান ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ আটক করা হয়। সে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে গোপালপুর ইউনিয়নের তুলাচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আনসার সদস্য মো. নূর নবী হেঞ্জু (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি। সে দীর্ঘদিন থেকে পলাতক ছিল। ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার জানান, আটককৃত আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে,

**বেগমগঞ্জে মাদ্রাসায় শিশু বলৎকার ঘটনায় ২ কিশোর কারাগারে**

নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ২৭ অক্টোবর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে (৮) বছর বয়সী এক নূরানী শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগে একই মাদ্রাসার দুই কিশোর শিক্ষার্থীকে শিশু ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২৬ অক্টোবর) ৩টায় দুই কিশোরকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাফেজ মহিউদ্দিন (রহ.) তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিশুটি বলৎকারের শিকার হয়। সে ওই মাদ্রাসার মাজ্রা প্রথম জামাতের ছাত্র ছিল। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাজী কলোনী থেকে ধর্ষক সিফাত (১২) কে আটক করে। সে কাজী কলোনীর সফি মিয়ার ছেলে এবং হাফেজ মহিউদ্দিন (রহ.) তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। অপরদিকে, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের একলাশপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ি থেকে ধর্ষক হাসান (১১) কে আটক করে পুলিশ। সে একই গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত অলি উল্লার ছেলে।

শিশুটির বাবা জানান, কোরআনের হাফেজ করার উদ্দেশ্যে তার ছেলেকে ১ বছর আগে ওই মাদরাসায় ভর্তি করান। সে আবাসিক ছাত্র হিসেবে সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো। গত শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ছেলের সঙ্গে দেখা করতে মাদ্রাসায় যায় তার বাবা। এ সময় শিশুটি তার বাবাকে গোপনে জানায় আমাকে বাড়ি নিয়ে যাও, কথা আছে।

বাড়িতে এসে শিশুটি জানায়, হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও হাসান দীর্ঘ দিন থেকে বেশ কয়েকবার তাকে বলৎকার করে আসছে। মাদ্রাসার বড় হুজুরকে এ বিষয়ে শিশুটি জানালে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে কোন ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি।

বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারে রোববার সন্ধ্যার দিকে অভিযোগ পেলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর পিতা বাদী হয়ে শিশু ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *