ফরিদগঞ্জ মাঠে অবস্থাপনা মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস অনুষ্ঠিত

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : স্বাধীনতার ৫২ বছরেও ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি, দেয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি এবং নিজেদের মধ্যে দলাদলীর কারনে ক্রমশই কমছে শহিদ মিনারে উপস্থিতির সংখা। এবারের রিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু করে শহিদ বেদীতে নিয়মানুসারে ফুল দেয়ার কার্যক্রম ছলছিল। সূর্য দয়ের সাথে সাথে যথাক্রমে স্থানীয় সাংসদ সাংবাদিক সফিকুর রহমান এমপি, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব, উপজেলা যুবলীগ, ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিন্তু ছাত্রলীগের ফুল দেয়া হয় একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এবং এক গ্রুপের ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলে অন্য গ্রুপের নেতা। ঘটনাটি ঘটেছিল সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের সামনেই।

অন্যান্য বারের মত এবার অন্যান্য রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ এবং স্বাংস্কৃতিক সংগঠন গুলি শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসে নাই। অন্যান্য বারের মত এবার কিন্ডার গার্টেন এ্যসোসিয়েশন কে দাওয়াত দেয়া হয়নি বলে এ্যসোসিয়েশন নেতারা জানান।

মাঠে মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা। বিজয় দিবসে দেশ স্বাধীনতার বীর সেনানী মুক্তি যোদ্ধাদের সম্মান না দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের গুরুত্ব দেয়ার কারনে মুক্তি যোদ্ধাদের একটি অংশ মাঠ ব্যবস্থাপনাকে দ্বায়ী করে মাঠ ত্যাগ করেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, বড় দলে বিভক্ত থাকতে পারে। কিন্তু শহিদদের উদ্দেশ্যে আনা ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলা শহিদ মিনার এবং শহিদদের অবমাননা করা হলো। যা বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের মতোই। এটি নিকৃষ্ট ও ঘৃনিত কাজ।

মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার শহিদ উল্যা তপাদার বলেন, শহিদ মিনারে শহিদদের উদ্দেশ্যে দেশের সকল নাগরিকই সম্মান প্রদর্শন করবেন, কিন্ত আজ যা ঘটলো তা অত্যন্ত ঘৃনিত কাজ। মাঠে আয়োজক কমিটির অব্যবস্থাপনার কারনে মুক্তিযোদ্ধারা বসার স্থান বা সম্মান পায় না। এটি ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হবে নিঃসন্দেহে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর মান্নান শহিদ মিনারের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, থানা পুলিশের যথেষ্ট উপস্থিতি ও সতর্কতা ছিল। কিন্তু কখন যে ধাক্কাধাক্কির কারনে বা কারো দ্বারা এ ঘটনা ঘটছে বুঝতেই পারিনি। যদি ইচ্ছাকৃত এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তা সত্যি দুঃখজনক এবং লজ্জারও বটে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমাদের সকলের গোচেরেই ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলেছে কামরুল নামের ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী। যা শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ওসি সাহেবই নয় খোদ সাংসদ মহোদয় নিজেও প্রত্যেক্ষ্য করেছেন। কিন্তু সকলের নিরবতা এটাই প্রমান করে যে ফরিদগঞ্জের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে শকুনের নজর পড়েছে। বিজয় দিবসে শহীদদের সম্মান নয়, শহিদ মিনারের পবিত্রতা নস্ট করতেই একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। এদর চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *