ফরিদগঞ্জে হিন্দু স্কাউট শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি 

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জমান, ৩১ মার্চ, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ স্কাউটের উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও মেঘনার পাড় মুক্ত স্কাউটের সাধারন সম্পাদক কর্তৃক স্কাউট লিডার শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী বিচার চেয়ে উপজেলা কমিটির কমিশনার, মেঘনার পাড় মুক্ত স্কাউটের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাহাফুজুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রায় দুই মাস পার হলেও বিচার পায়নি ভূক্তভুগি শিক্ষার্থী। এতে ক্ষুদ্ধ সকল স্কাউট শিক্ষার্থী বৃন্দ। অভিযোগের পরেও কেন ঐ শিক্ষকের বিচার হয়নি এমন দাবি শিক্ষার্থীদের। নাকি কোন অপশক্তির ভয়ে চুপ তারা। এমন প্রশ্ন তাদের মাঝে।

ভূক্তভুগি ও অভিযোগের আলোকে জানা যায়, গত বছর ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার পি.এল কোর্সের আয়োজন হয় গাজীপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে। ৫ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী। ৫দিনের অনুষ্ঠানটি শেষ হয় ৪ দিনে। গত ১৯শে ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আনুমানিক ১০টার সময় একজন স্কাউট লিডার সেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন কালে ঐ শিক্ষার্থীকে ডেকে তার রুমে নেয় উপজেলা মেঘনার পাড় মুক্ত স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা স্কাউটের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক হিতেশ চন্দ্র শর্মা।

এসময় হিতেশ শর্মা ঐ শিক্ষার্থীর সাথে জোর পূর্বক যৌন হয়রানির চেষ্টা করলে মেয়েটি দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে স্কাউট টিচার ও অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিনের কাছে বিস্তারিত জানান। শিক্ষক মহিউদ্দিন একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার করলেও তা অন্ধকারেই রয়ে গেছে। ঐ ঘটনার দেড় মাস পার হলেও কোন প্রকার বিচার না পেয়ে মেয়েটি উপজেলা স্কাউটের কমিশনার, মেঘনার পাড় মুক্ত স্কাউটের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাহাফুজুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রায় ২ মাস পার হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি উপজেলা স্কাউট কমিটি।

উপজেলা স্কাউট সাবেক সাধারন সম্পাদক, মেঘনার পাড় মুক্ত স্কাউট ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক হিতেশ শর্মা প্রশ্নের জবাবে বলে, আগামীতে আমি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন করবো তাই তারা আমার বিরোদ্ধে সড়যন্ত্র করার জন্য এই কাজ করেছে।

ফরিদগঞ্জ স্কাউট কমিটির সাধারন সম্পাদক শফিকুর রহমান বলেন, কমিশনার, স্কাউট শিক্ষকসহ সংশ্লিস্ট সকলকে বিষয়টি জানানো হয়ে কিন্তু কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে ইউএনও এবং উপজেলা স্কাউটের সভাপতি শিউলি হরি বলে, আমি এ পর্যন্ত কিছুই জানি না, আমি এবং আমার শিক্ষা বিভাগের কোন কর্মকর্তাকে কেউ অবহিত করে নাই। বিষয়টি স্পর্শকাতর তদন্তপূর্বক ব্যবস্তা গ্রহন করা উচিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *