নোয়াখালী মায়ের কবরের পাশে সিরাজুল আলম খান

নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ১০ জুন, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান। ১০ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে সাহেব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলমের দাফনের আগে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ  গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে পৈতৃক ভিটায় সিরাজুল আলমের লাশ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এ সময় প্রিয় নেতার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এদিকে, তার মৃত্যুতে দাফনের সময় উপস্থিত থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নোয়াখালী ৩ আসনের সাংসদ মামুনুর রশীদ কিরণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো.শাহজাহান, জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব,ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া রব, কবি ফরহাদ মাজহার,বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *