নীলফামারীতে ৭ মাস ধরে ভিজিডির চাল না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অসহায় দুঃস্থদের মাঝে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্ড বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চুরান্ত এম, আই, এস তালিকায় নাম থাকলেও দীর্ঘ ৭ মাস ধরে ভিজিডির চাল পায়নি তারা। তাদের চাউল তুলে ভাগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছেন গোমনাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হামিদ। এমনই অভিযোগ নিয়ে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যানের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোমনাতি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মর্জিনা বেগম, সুমনা আক্তার, নাজেমা বেগম ও ৬ নং ওয়ার্ডের মারজানা বেগম ও বিলকিছ বেগম, গোলাপী বেগম ও বিউটি বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, কার্ডের জন্য টাকার দাবী করেন চেয়ারম্যান। দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় এখন কার্ডও নাই, চাউল ও নাই। চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি বলেন তোমার কার্ড হয় নাই। ভুক্তভোগীদের দাবী তাদের ভিজিডির কার্ডের চাউল ফেরত চায়। সেই সাথে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হামিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নে ভিজিডির ৩৮২ টি কার্ডের মধ্যে আমার ওয়ার্ডে ৫৩ টি কার্ড বরাদ্দ থাকলেও চেয়ারম্যান আমাকে মাত্র ১৪ টি কার্ড দেয়। তার মধ্যেও ৩টি কার্ড অজ্ঞাত কারণে তার কাছে রেখে দেয়। পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের সকল কাগজ পত্র ঠিক থাকলেও চাউল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্ত ভোগীরা। আমি বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যানকে শুপারিশ করার পরেও তাদের কার্ড গুলো ফেরত দেয় নাই।

অপরদিকে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন দুলাল বলেন, আমার ওয়ার্ডে আমি মাত্র ৬ টি কার্ড পাই। বাকি সব কার্ড চেয়ারম্যান নিজেই বিতরণ করেছে। এম, আই, এস তালিকায় চুরান্ত নাম থাকলেও কিন্তু আমার ওয়ার্ডের অসহায় ও দুস্থ ভুক্তভোগী ৪ জন মহিলাকে কার্ড চেয়ারম্যান দেয় নাই। তারা গত ৭ মাস ধরে ভিজিডির চাউল পাওয়া থেকে বঞ্চিত। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের এই অনৈতিক কার্যকলাপকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে অসহায় দুস্থদের কার্ড দ্রুত ফেরত দেওয়ার জন্য দাবী জানাই।

বিষয়টি জানার জন্য গোমনাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হামিদকে বার বার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *