মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর সংবাদ প্রশাসনকে না জানিয়েই দাফন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর সংবাদ প্রশাসনকে না জানিয়েই দাফন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মো: জুনাব আলী নামরে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু সংবাদ স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই রাতে দাফন করা হয়ছে। সাংবাদিকদের কাছে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে গেলেন উপজলো নির্বাহী অফসিার তানভীর হোসন। তিনি ওই মুক্তিযোদ্ধার কবর জিয়ারত ও শোকসন্তপ্ত পরবিাররে প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পরে দাফনের জন্য বরাদ্দকৃত একটি চেক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শাহআলম বাবুর হাতে তুলে দনে।

জানগেছে, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার উত্তর ফালগুন করাগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী শনিবার বিকালে ইন্তেকাল করেন। কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে দাফনের আগে গার্ড অফ অনারসহ রাস্ট্রীয় নিয়ম পালনের জন্য উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে অবহতি করার বিধান রয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা জুনাব আলীর মৃত্যু সংবাদটি পরবিার বা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে অবহতি করা হয়নি। পরে গার্ড অফ অনার ছাড়াই শনিবার রাত নয়টায় মুক্তিযোদ্ধা জুনাব আলীর দাফন সম্পন্ন করা হয়। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন কে অবহতি করলে তিনি খুবই মর্মাহত হন। তাৎক্ষণিক তিনি ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ছুটে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের দাফনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের একটি চেক তার ছেলের হাতে তুলে দেন তিনি।

নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শাহ আলম বাবু জানান, বাবার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত হয়ে পড়ি। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে বাবার মৃত্যু সংবাদটি প্রশাসনকে অবহতি করতে পারিনি। পরে সাংবাদিকদের কাছে বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে ইউএনও স্যার আমাদের বাড়িতে আসেন। তিনি আমাদের খোঁজ খবর নেন এবং উপজলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোক জানান। পরে দাফনের জন্য বরাদ্দকৃত একটি সরকারি অনুদানের চেক প্রদান করেন। এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাসেম বলেন, দাফনের ৩০ মিনিট আগে জুনাব আলীর মৃত্যু সংবাদটি আমাদের আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা আলী নেওয়াজ ভাই আমাকে অবহতি করেন। আমরা উনার জানাজার নামাজ রাত নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আলী নেওয়াজ ভাই জানান।

সূর্যাস্তের পরে গার্ড অব অর্নার দেওয়া সরকারি ভাবে কোন বিধান না থাকায় বিষয়টি আর প্রশাসন কে অবহতি করা হয়নি। তবে মৃত্যুর পর পরই বিষয়টি আমাকে জানালে আমি প্রশাসন কে অবহতি করতে পারতাম।

চৌদ্দগ্রাম থানার অফসিার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের মুত্যৃর পর গার্ড অফ অর্নার দিতে পুলিশ সকল সময় প্রস্তুত। তবে বীরমুক্তিযোদ্ধা জুনাব আলীর মৃত্যুর সংবাদটি আমাকে কেউ অবহতি করেননি সেটা খুবই দুঃখজনক।

চৌদ্দগ্রাম উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, বীরমুিক্তযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির সূর্য সন্তান। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অফ অর্নার দেওয়া আমাদের ইউএনও দের জন্য গর্বরে একটি দায়িত্ব, সেটা আমরা নিষ্ঠার সাথে করে থাকি। বীর মুিক্তযোদ্ধা জুনাব আলীর মৃত্যুর খবর কেউই আমাকে জানায়নি। এটা দুঃখজনক, খবরটা শুনে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। তবে খবর পেলে আমি রাতেই ছুটে যেতাম। কোন বীর মুিক্তযোদ্ধা মারা গেলে উপজেলা ও থানা প্রশাসন কে তাৎক্ষণিক অবহতি করার জন্য জনপ্রতিদিনিধি ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *