চৌদ্দগ্রাম তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগ খেটে খাওয়া মানুষের, ফুটপাতে গরম কাপড় কেনার ধুম

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে রিকশা চালক, দিনমজুর ও ফেরিওয়ালার দৈনিন্দন কাজকর্মে। সূর্যের দেখা মিলছেনা গত ৩-৪ দিন। হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। ফলে রাত দিনের শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খড়ের আগুনে গরমে উষ্ণতা নিতে দেখা যায় খেটে খাওয়া মানুষদের। এতে শীর শীর বাতাসে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষ পড়ছে বিপাকে। জীবন যাত্রার স্বাভাবিক কাজ কর্ম ব্যাহত হচ্ছে। রোববার উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বাজার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাত আর পুরাতন কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। ফুটপাতে গরম কাপড়ের ফরসা সাজিয়ে বসে আছেন মমিন মিয়া।

তিনি জানান, গত ৪ বছর ধরে শীত মৌসুমে মহাসড়কের পাশে ফুটপাতে বসে গরম কাপড় বিক্রি করছি। গত ৩ দিন তীব্র শীতের কারনে গরম কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। কথা হয় গরম কাপড় কিনতে আসা কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল গ্রামের আফিয়া খাতুনের সাথে। তিনি জানান, গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। তাই নাতি জিসানের জন্য ফুল হাতার সুয়েটার ও নিজের জন্য হাত-পায়ের মোজা কিনতে চৌদ্দগ্রাম বাজারে এসেছি।

রিকশা চালক রংপুরের মফিজ মিয়া বলেন, ‘জীবিকার প্রয়োজনে তীব্র শীতের মধ্যেও গাড়ি নিয়ে বাহির হইছি। ঠান্ডার কারনে রাস্তায় তেমন কোন যাত্রী নাই। দিনের ১টা পর্যন্ত মালিকের জমার টাকা উঠাতে পারি নাই’। উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের কোমারডোগা গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, এবারের শীতের পূর্বে বৃষ্টির কারনে ফসল বুনতে দেরি হয়েছে। ভূট্টা ও শরিষা রোপন করেছি। তীব্র শীতের কারনে জমিতে পরিচর্যা করতে পারছি না। উপজেলার পৌর এলাকার রামরায়গ্রাম গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন জানান, ‘গত ৩দিন ধরে তীব্র শীতের কারণে বোরো ফসলের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছি না। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা ও শরীর অবশ হয়ে আসছে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *