কুমিল্লা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে হত্যা

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লা অপহরণ কারীকে দাবি কৃত টাকা না দেয়ায় ছুরিকা ঘাত করে মোঃ মুছা আলী (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী হত্যা করা হয়েছেন। বুধবার রাত ১০ টার দিকে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা আলী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উত্তর নাজির পাড়া গ্রামের মৃত মাজেদ আলীর ছেলে। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জুতা ও কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তার শ্বশুর বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে।

নিহতের স্ত্রী নাজিয়া আক্তারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ৮টায় পরিচিত এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হন মুছা আলী। রাত ৯টায় নাজিয়া আক্তারের মোবাইল ফোনে তার স্বামীর নম্বর থেকে কল দিয়ে জানানো হয়, মুছা আলীকে অপহরণ করা হয়েছে। টাকা দিলে ১০ মিনিট পর ছেড়ে দেয়া হবে। পরে অপহরণকারীদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা হত্যাকাণ্ডের খবর পান।

নাম প্র্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কয়েক জন যুবক মুছা আলীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকা ঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামী ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে কাপড়, জুতা ও কসমেটিকস নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে দোকানে বিক্রি করতেন। বুধবার রাতে সোহেল নামে এক পরিচিত ব্যক্তির কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন।

তিনি আরও বলেন, যারা মুছা আলীকে আটক করেছিল তারা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চায়। পরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো পরও কেন আমার স্বামীকে হত্যা করা হলো।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তিনটি মাদক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। গত রোববারও কুমিল্লার আদালতে একটি মাদক মামলার হাজির দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িতরা নিহত মুছার পূর্বপরিচিত ছিল, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মাদক কিংবা আর্থিক বিরোধ থাকতে পারে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *