দুর্নীতির দায়ে ক্ষমতাচ্যুত নওয়াজ শরিফকে নির্বাচনে আজীবন অযোগ্য ঘোষণাঃ সুপ্রিমকোর্ট

আন্তর্জাতিক, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : আজ পাকিস্তানে দুর্নীতির দায়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে, বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিমকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে আজীবন নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে রায় দেন সুপ্রিমকোর্ট। নওয়াজ শরিফে পাকিস্তানের কোনো রাষ্ট্রীয় পদে ফিরে আসতে আর পারবেন না। খবর ডন অনলাইনের।

গত বছরের ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি মামলায় হাইকোর্ট সংবিধানের ৬২ ধারা অনুযায়ী নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করে ও তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। সংবিধানের ৬২(১)(এফ) ধারায় বলা আছে- একজন পার্লামেন্ট সদস্যকে অবশ্যই সাদিক ও আমিন হতে হবে। রায়ের পূর্বে প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার বলেন, নেতাদের অবশ্যই ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।

 

পাঁচ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ছিলেন, প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসা, বিচারপতি শেখ আজমত সাঈদ, বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল, বিচারপতি ইজাজুল আহসান ও বিচারপতি সাজ্জাদ আলী শাহ। শুনানিতে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আশতার আউসাফ বেঞ্চকে বলেন, সংবিধানের ৬২ ধারা অনুসারে কাউকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা আদালতের দায়িত্ব না। বরং এটি পার্লামেন্টের হাতে ছেড়ে দেয়াই ভালো হবে। সংবিধানে এটি বলা নেই যে, কতদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বরং মামলা অনুসারে তাদের সেটি বিচার করা উচিত।

কতদিনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা যাবে, সংবিধানে তা বলা না থাকলেও সাবেক প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী ২০১৩ সালে আবদুল গফুর চৌধুরীর মামলায় সংবিধানের ৬৩ ধারা অনুসরণ করেছিলেন। সেখানে কোনো ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে অযোগ্য ঘোষণা করা গেলেও একটা নির্দিষ্ট সময় পর তিনি যোগ্য হয়ে যাবেন। কিন্তু ৬২ ধারা অনুসারে কাউকে নিষিদ্ধ করা হলে সেটি আজীবনের জন্য হবে।

 

ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এটি গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত, একজন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। অথচ বিচার এখনও চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দেশটির গণতন্ত্রে ব্যাপক উত্থানপতন রয়েছে, ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের ৭০ বছরের মধ্যে অর্ধেকটা সময় সামরিক শাসনের মধ্যেই ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *