নোয়াখালীতে ধর্ষণের মামলা করায় বাদীকে হত্যার হুমকি

মামলা সুত্রে জানা যায়- ঐ বাড়ীর বেলাল হোসেনের বখাটে পুত্র মামুন (২২) একই বাড়ীর সিএনজি ড্রাইবার আলমগীরের মেয়ের সাথে ১বছর আগে থেকে বিয়ের আশ্বাসে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে। অল্প শিক্ষিত সুমির সাথে প্রেমের সুত্রে জোরপুর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছারর বিরুদ্ধে মামুন একাধিক বার ধর্ষণ করে। এতে সুমি গর্ববতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি মামুন কে জানালে, সে কিছুদিন পর বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করে।

তারপর সুমির পরিবার মানুনের পরিবার কে ঘটনাটি বললে এলাকার মাতাব্বর মাছ রহিম, আজম নেতার হস্তক্ষেপে কয়েকবার সালিশ বৈঠক বসে উল্টো মেয়ে কে দোষারোপ করে এবং মামুনের গ্যাং সদস্যদের সহযোগিতা ভিকটিমের বাবা আলমগীরকে মারদর ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আলমগীর বাদী হয়ে গত ১১জুলাই ২০২০সালে বেগমগন্জ মড়েল থানায় ধর্ষণ মামলা করে, মামলা নং -১৭।

মামলা করলে প্রভাবশালীদের চত্রছায়ায় আসামী গ্রেপ্তার  না হওয়ায়, ২৯ অক্টাবর ২০২০ সালে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ সহ একাধিক প্রত্রিকায় খবর প্রকাশের পর আসামী আত্নসমর্পন করতে বাধ্য হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামী মামুনের ছোট ভাই শুভ (১৮) তার বাবা বেলাল হোসেন ভিকটিমের পরিবার কে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন সময় মারদর ও ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে।

গত ২৩ জানুয়ারি বিকাল ৫ ঘটিকায় বাড়ীর সামনে রাস্তায় বাদীকে মামলা উঠাইয়া নিতে বলে, না উঠালে মামুন জামিনে এসে বাদী ও তার পরিবার কে হত্যা করবে বলে  হুমকি দেয়। বিষয়টি অবগত করে বাদী বেগমগন্জ মড়েল থানায় ২৫ জানুয়ারি সাধারন ডাইরী করে, ডাইরী নং ১৮৯৬।

এদিকে সুমি আক্তারের ভূমিষ্ট কন্যা সন্তানের ফরেনসিক ডিএন এ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয়, অভিযুক্ত মামুন সুমি আক্তারের গর্ভজাত সন্তানের জেবিক পিতা।