সাতক্ষীরা ইউ.পি সদস্যা কর্তৃক প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করার অভিযোগ
সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি, হেলাল উদ্দীন, ০৭ মে ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : দেশেরকরোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ খাদ্য সমস্যা আর অর্থনৈতিক ভাবে যখন ক্ষতিগ্রস্থ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের শৈলিক চাহিদা পূরণে যখন বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশে কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অদম্য প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। কিন্তু তৃর্ণমূল পর্যায়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিজ ক্ষমতাবলে কুক্ষিগত করে অসহায় মানুষের সরকারের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খারাপ ধারনা তৈরীতে সদা তৎপর।
এরা কোন দলের নয়, এরা সুবিধা ভোগী, এরা নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখে দেশের মানুষের সাথে প্রহসন করে চলেছে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর সেলিনা খাতুন। তিনি একটি বড় দুর্নীতির মুল হোতা হিসাবে কাজ করে চলেছে দীর্ঘদিন।
সম্প্রতি তারি গ্রামের শেখ মোকলেছুর রহমান, শেখ রকিম, শেখ হান্নান, মোঃ নূরআলী মীর এই হত দরিদ্র ব্যক্তিদের নিকট থেকে সাতক্ষীরা বয়েরা চারাবট তলা গ্রামের এক কিশোরীর আত্নহত্যা কে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ ভাবে তার পুরো চক্রটাকে কাজে লাগিয়ে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপর ভুক্তভোগিরা যখন কেস এর কপি চায় তখন নানা টালবাহানা করলে অবশেষে ধরা পড়ে এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান কালিগঞ্জ থানার ওসি মোঃ দোলয়ার হোসেনের মাধ্যমে সমুদ্বয় টাকা ফেরত দিয়ে আর কোন অপকর্ম না করার জন্য প্রতিশ্রুতি দিলেও আবারও বেরিয়ে এত সরকারি সরকারি সেফটিনেট প্রকল্পের পরিবার তান্ত্রিক ভাবে সুবিধা ভোগের এক করুন চিত্র।
প্রথমে আসা যাক সেলিনা খাতুন পিতা শেখ আব্দুর রহমান, মাতা হামিদা খানম, গ্রাম- রহিমপুর শেখ পাড়া, ডাক- তারালী, থানা- কালিগঞ্জ, জেলা- সাতক্ষীরা তার স্বামী একই গ্রামের ডাঃ শেখ নূরুল ইসলাম (মৃত) তারা উভয়ই পরিবার সম্ভ্রান্ত ও ধনী। স্বামী আজিজুল ইসলাম( ৪৫) ব্যক্তিগত ভাবে কর্মঠ ও সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষ তার জমির পরিমান ৬/৭ বিঘা তিনি রাজমিস্ত্রীর যোগালের কাজ করেন দীর্ঘদিন।
সেলিনা খাতুন এর বাবা শেখ আব্দর রহমান ধনী ব্যক্তি তার একটা মাত্র ছেলে সে ইঞ্জিনিয়ার ভালে চাকুরি করেন মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকা জমাজমি ৫/৬ বিঘা সংসারে স্বামী স্ত্রী ছেলে (১জন) মেয়েদের (৪ জন) বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলে ঢাকায় থাকেন ও মেয়েরা শ্বশুরবাড়ী। সেলিনা খাতুনের ও মোঃ ফজলুর রহমান (নলতা) এই দুজনের আছে একটা সমিতি তারা ক্ষুদ্র ঋণের কারবার করে এই ফজলু অবাদে তার বাড়িতে আসা যাওয়া করে।
এবার একটু হিসাব মিলাই কিকি সরকারি সুবিধা এই পরিবার ভোগ করছে। সেলিনা খাতুন মহিলা মেম্বর হওয়ার পর সুস্থ্য স্বামী শেখ আজিজুরকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সাজিয়ে সরকারি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যা অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকার ৩য় পৃষ্টা ১৭ নং সিরিয়াল। আবার এই স্বামীর নামে আছে ১০ টাকার চালের কার্ড খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগির তালিকার ৮২২ নং সিরিয়াল।
সেলিনার মাতা হামিদা খানম (৫৫) কিছু দিন পূর্বে স্ট্রোক জনিত কারনে হাতে পায়ে শক্তি হারায় এই মাকে প্রতিবন্ধী তালিকায় নাম লিখিয়ে ভাতা তুলছে যা অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকার ৩য় পৃষ্টা ১২ নং সিরিয়াল ( মাস ১/১৯-৬/১৯ ) বাবা শেখ আব্দুর রহমান (৬৫) তুলছেন বয়স্কভাতা (বয়স্ক ভাতা – তারালী এর ১১ নং পৃষ্ঠা সিরিয়াল নং ২৬ এবং ১০ টাকার চাউলের কার্ড খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগির তালিকার ৯৪৬ সিরিয়াল নং)।
তিনি এর পরেও ক্ষন্ত নয় কিভাবে তার বোনদের নিজ গ্রামের বাসিন্দা করে সরকারি ভাতা উত্তলন করে খাওয়া যায় বাংলাদেশ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা ইউনিয়ন তারালী এর তালিকায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ভাতা তালিকার ৪ নং পেজ সিরিয়াল নম্বর ৫১ নাম মোছাঃ শিরিন বেগম, পিতা আব্দুর রহমান, মাতা হামিদা বেগম এই বোনের নাম অন্তভূক্ত করে ভাতা উঠিয়ে নিচ্ছে। এই শিরিন বেগম এর বিয়ে হয়েছে শ্যামনাগর স্বামী শেখ আজগর আলী সে রহিমপুরের বাসিন্দা নয়।
তাছাড়া তার পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো ১শ বিঘার উপরে জমাজমি ২ টা বাড়ী তাকেও তালিকায় নাম লেখিয়ে সরকারি টাকা হস্তগত করছে। এছাড়া যখনি সরকারি কোন অনুদান আসে তখনি নিজের ব্যক্তিদের প্রধান্য দিয়ে নিজে ওখান থেকে উপরি কিছু আদায় করে। তার বাড়ি বৃষ্টির পানি ধরার বড় সরকারি ট্যাঙ্কি থাকলেও বিভিন্ন সমিতির নামে নিজে প্রতিবারে সরকারি ট্যাঙ্কি দখল করে এর ফলে অন্যরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
তার ওয়ার্ডের অনেক ধনী ব্যক্তি এই সুবিধা পায় বিধবা যদি পুনরায় বিয়ে করে সেটা তাদের মাধ্যমে দিনেরপর দিন সরকারি টাকা উঠাতে থাকে। আজ দেশে করনা ভাইরাসের কারনে সবার কাজ বন্দ সবাই খাদ্য সমস্যায় আছে সে একা যদি এমন সুবিধা ভোগ করে তবে অন্যরা কি পাবে। এলাকার মানুষ তার এই আচারণে খুবই মর্মহত কেউ মুখ খুললে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ ও কেস-কামের ভয় দেখায়।
সবাই এই নারী রুপি অশুরের হাত থেকে মুক্তি চায়, পেতে চায় জনগনের ন্যার্য অধিকার। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সেলিনার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ধর্ণার্ঢ্য কাওকে দেওয়া হয়নি, প্রকৃত দুস্থদের দেওয়া হয়েছে। তাই সেটা আমার পরিবারের হোক আর এলাকাবাসীর হোক। এসব নিউজ কেডা দেয় আপনাগাে?