নীলফামারীতে পাল্টে গেছে গ্রাম বাংলার দৃশ্যপট
নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ২১ আগস্ট ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারী সদর উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনা-বেক্ষন (টি. আর-নগদ অর্থ) প্রকল্পের আওতায় পাল্টে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার দৃশ্যপট। নীলফামারী-২ আসনের নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক কাবিটা ও টি. আর প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির-গীর্জা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লেগেছে নতুনত্বের ছোয়া। সংস্কারের মাধ্যমে অনুপযোগী রাস্তাগুলো হয়েছে চলাচলের উপযোগী। যাতায়াতে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী ও নীলফামারী-০২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এর সদিচ্ছা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ এলাকার দৃশ্যপট। সদর উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ এর তদারকিতে বাস্তবায়ন হয়েছে এসব কাজ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে জানা যায়, জনস্বার্থে মসজিদ-মাদরাসা গোরস্থান কমিউনিটি ক্লিনিক, রাস্তাঘাট গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে সকলের জীবন যাত্রা মান পরিবর্তন হয়েছে। এলাকার ছেলেমেয়েদের স্কুলে ও রোগীদের যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। এছাড়া আমরা দেখেছি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোন প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ তা জনসম্মুখে জানিয়েছে ফলে প্রকল্পের কাজগুলোতে এসেছে স্বচ্ছতা।
প্রকল্পের সভাপতিরা জানান, প্রকল্প গুলোর কাজ শতভাগ হয়েছি কিনা সেটা আমরা বলবো না আপনারা এলাকাবাসীর কাজে জিজ্ঞাসা করলে বুঝতে পারবেন। আমরা কত স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেছি। আমরা চাই আমাদের এলাকার উন্নয়ন।
রামনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বল্টুর ঘাট থেকে হরি মন্দির পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, রাস্তার পাশের জমির মালিকেরা জমির আইল কাটতে কাটতে রাস্তাটি একটি আইলে পরিণত করেছিল। যার ফলে রাস্তাটি দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে পারতো না। বিষয়টি আমরা আমাদের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর মহোদয়কে জানালে তিনি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয়। সেই বরাদ্দ দিয়ে আমরা সংস্কারের মাধ্যমে রাস্তাটির অস্তিত্ব ফিরিয়ে এনেছি।
অপর এক প্রকল্পের সভাপতি লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রহমান বলেন, আমাদের ইউনিয়নে সকল প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) সাধারণ-বিশেষ মিলে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৭লাখ ১৫হাজার ৩২১ টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৩টি প্রকল্পের কাজ ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টি.আর-নগদ অর্থ) সাধারণ-বিশেষ মিলে ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯১ টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪৪টি প্রকল্পের কাজ। তৃতীয় পর্যায়ে কাবিটা সাধারণ ও বিশেষ মিলে এক কোটি ৭৭লাখ ৯৬হাজার ৩৪৮ টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ৪৯টি প্রকল্পের কাজ। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে টি. আর নগদ অর্থ সাধারণ ও বিশেষ মিলে এক কোটি ৭৪লাখ ৯২হাজার ৮২৯টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৯২ টি প্রকল্পের কাজ।
জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, সকলের চেষ্টায় সুষ্ঠু সুন্দরভাবে শতভাগ কাজ সম্পন্ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। প্রকল্পের কাজগুলো স্বচ্ছতা আনতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রত্যেকটি ইউনিয়নে গিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের চেক বিতরণ করেছেন। এছাড়া নোটিশ বোর্ডে প্রকল্পের নাম ও বরাদ্দ উল্লেখ করেছি যাতে করে জনগণ তাদের এলাকার উন্নয়নে কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ তা জানতে পারে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর মহোদয় নীলফামারীর উন্নয়নে যে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার বলেন, আমার যোগদান করার বেশি দিন হচ্ছে না। তবে আমি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম সুন্দর ভাবে কাজগুলো হয়েছে।