পেন বাংলাদেশের বর্ষবরণ উদযাপন

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) :  বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে উদযাপিত হলো পেন বাংলাদেশ সেন্টার আয়োজিত বর্ষবরণ ও নবীন সদস্য বরণ। গতকাল শনিবার বিকেলে এই আয়োজন করা হয়। লেখক ও সাহিত্যমোদিদের আন্তর্জাতিক সংগঠন পেন ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ শাখা পেন বাংলাদেশ এ আয়োজনে ফুল দিয়ে নতুন সদস্যদের বরণ করে নেয়।

আয়োজনে নতুন ও পুরোনো সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ফরিদা হোসেন, উপদেষ্টা ড. কাজী আনিস আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাকিব লোহানী ও জেনারেল সেক্রেটারি ফরিদা বেগম।

আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেনারেল সেক্রেটারি ফরিদা বেগম। তিনি নতুন অতিথিদের স্বাগত জানান এবং গত কয়েক বছরে পেন বাংলাদেশ সেন্টারের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি জানান, ব্লগারদের ঝুঁকি নিরসন করা ও তাদের নিরাপত্তার জন্য জনসাধারণকে সোচ্চার করার দায়িত্বও পেন পালন করবে।

উপদেষ্টা কাজী আনিস আহমেদ পেন ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশ শাখার সম্ভাবনা ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। নতুনদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তিনি জানান, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদি ও সাহিত্যিকদের কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে পেন ইন্টারন্যাশনালের ইতিহাস তুলে ধরেন।

কাজী আনিস আহমেদ বাংলাদেশের লেখকদের বর্তমান সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। ব্লগার হত্যাকাণ্ডসহ নানা সংকট উতরে যেতে পেন পাশে থাকবে, এমন আশ্বাসও তিনি দেন। তিনি জানান, পেন ইন্টারন্যাশনাল সরাসরি ইউনেস্কোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। তাই লেখকদের পুনর্বাসন করাও পেনের কাজের মধ্যে পড়ে। তিনি পেনের নীতিমালার কিয়দংশ উল্লেখ করে বলেন, জঙ্গি হামলার শিকার বাংলাদেশি প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল সম্পূর্ণরূপে পেনের সহায়তা পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পেন লেখকদের সৃজনশীলতার দুয়ার খুলতে ও সহিংসতামুক্ত সমাজ গড়তে একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।

প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে ফরিদা হোসেন পেন বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস ও এযাবৎকালের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। সে সময় তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ আলী আহসান ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সহসভাপতির বক্তব্যে সাকিব লোহানী বলেন, পেনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা। এটি কেবল অনুবাদের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি সে সময় ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টারের অনুবাদ কার্যক্রম তুলে ধরেন।

আলোচনা ও নতুনদের স্বাগত জানানোর পর পরই ছিল কবিতা আবৃত্তি ও প্রীতিভোজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *