ঝিনাইদহের মা-মেয়ের লাশ সাতক্ষীরায় ইছামতি নদীর থেকে উদ্ধার, পরিবারের দাবী সাবেক প্রেমিক পুলিশ কনেষ্টেবল হত্যার সঙ্গে জড়িত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, জাহিদুর রহমান তারিক, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ইছামতি নদী থেকে উদ্ধার কৃত অজ্ঞাত মহিলা ও দেবহাটার নদী থেকে শিশুর লাশের পরিচয় মিলেছে। অজ্ঞাত মহিলার নাম রিপ্পা খাতুন (২২) ও শিশুটি তার মেয়ে মুন্নি (৭)। তার গ্রামের বাড়ী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে । তার পিতার নাম শহিদুল ইসলাম ও স্বামীর নাম মুসা মিয়া।
নিহত রিপ্পার স্বামী যাদবপুরের মুসা মিয়া জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে তার স্ত্রী রিপ্পা খাতুন ও তার কন্যা মুন্নিকে (৭) সাথে নিয়ে মহেশপুর হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাড়ী থেকে বের হয়। এর পর থেকে তাদের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তিনি মহেশপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার সন্দেহ স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক একই গ্রামের পুলিশের কনেষ্টেবল আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আলীম তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে। উক্ত পুলিশ সদস্য সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানায় কর্মরত আছেন।
বিভিন্ন প্রকার পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, কালিগঞ্জ থানার পুলিশ গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সকালে শিশু মেয়ে মুন্নির লাশ দেবহাটার ইছামতি ও ১৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে রিপ্পার লাশ ইছামতি (কালিন্দি) নদীর বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্পের পাশের নদীর চর থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ৬ তারিখ ১৫/০২/১৮ ধারা ৩০২/২০১/৩৪।
দুই দিন আগে পুলিশ সদস্য আব্দুল আলীম ছুটি নিয়ে বাড়ী এলে তার গতি বিধি সন্দেহ জনক হওয়ার কারণে এলাকাবাসী তাকেই সন্দেহ করে। এক পর্যায়ে পত্র পত্রিকায় প্রথমে শিশুটির ও পরে বোরকা পরিহিত মহিলার ছবি দেখে এলাকা বাসী তাদের গ্রামের নিখোঁজ রিপ্পা ও তার মেয়ের ছবি বলে প্রাথমিক ধারণা করে। মহেশপুর থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকালে পুলিশ সদস্য আব্দুল আলীম কে আটক করে।
গতকাল শুক্রবার (১৬ ফের্রুয়ারী) মহেশপুর থানার এস আই জিয়াউর রহমান কে সাথে নিয়ে রিপ্নার বাবা-মা ও স্বামী মুসা মিয়া সাতক্ষীরার মর্গে গিয়ে লাশ সনাক্ত করে । লাশ পচে যাওয়ায় সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের তত্বাবধানে তাদের দাফন করা হয়েছে।
এস আই জিয়াউর রহমান মুঠোফোনে জানান, লাশের বাবা-মাতা ও স্বামী ছবি ও পোশাক দেখে রিপ্পা ও তার মেয়ে মুন্নিকে সনাক্ত করেন। মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লস্কর জায়াদুল হক জানান, সন্দেহ ভাজন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্য আব্দুল আলীম আমাদের হেফাজতে আছে।
রিপ্পা খাতুন ও তার মেয়ে যে দিন নিখোঁজ হয় সে দিন পুলিশ সদস্য আব্দুল আলীমের সাথে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে মোবাইলে কয়েকবার কথা হয়েছে।