অভিযুক্ত বাবা বিজয় হোসেন (২৬) একই উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

জানা যায়, রোববার ভোররাতে বাথরুমে বালতির পানিতে ডুবানো অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে নানা বাড়ির লোকজন। পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশুর নানা মোফাজ্জল জানান, এক বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়। গত ৮ অক্টোবর শিশুটি জন্মের পর থেকেই মা ও শিশু তার বাড়িতেই ছিল। শনিবার জামাই বিজয় তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সে শিশু সন্তানকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে ভোরে শিশুকে তার মায়ের সঙ্গে না পেয়ে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে বাথরুমের বালতিতে দেখতে পায়।

নানা মোফাজ্জলের দাবি, বিজয় একজন নেশাগ্রস্ত যুবক। তার সঙ্গে একাধিক মেয়ের অনৈতিক সম্পর্ক থাকায় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই কলহ তৈরি হতো। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার মেয়েকে পেটের সন্তান নষ্ট করার জন্য একাধিকবার চাপ দিয়েছিল বিজয়।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আক্তার হোসেন বলেন, অভিযুক্ত বিজয়কে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।