সৌদি আরবের ইতিহাস

প্রবাস (সৌদি আরব), ০৩ অক্টোবর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): সৌদি আরব (আরবিالعربية السعودية আল’আরবিয়া আস্‌সা’উদিয়া‎) সরকারিভাবে সৌদি আরব সাম্রাজ্য নামে পরিচিত। আয়তনের দিক দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় আরব দেশ যার আয়তন ২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি। আলজেরিয়ার পরে আরব বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে জর্ডান ও ইরাক, উত্তরপূর্বে কুয়েত ,পূর্বে কাতারবাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অবস্থিত, দক্ষিনপুর্বে ওমান ও দক্ষিনে ইয়েমেন অবস্থিত।

সৌদি আরব মূলত চারটি সতন্ত্র অঞ্চল হেজাজনজদআল হাসা পুর্বাঞ্চলীয় আরব এবং আসিরদক্ষিণাঞ্চলীয় আরব নিয়ে গঠিত। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ১৯৩২ সালে সৌদি আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯০২ সালের শুরুতে রিয়াদ ও তার পুর্ব পুরুষের রাজ্য দখলসহ ধারাবাহিক যুদ্ধের মাধ্যমে চারটি অঞ্চলকে একত্রিত করে একটি রাষ্ট্রে পরিণত করেন। দেশটি পুরোপুরি রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় এবং আইনের ক্ষেত্রে ইসলামি আইনের অনুসরণ করা হয়। ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর কারণে এই দেশটাকে দুই পবিত্র মসজিদের দেশ বলা হয়। দেশটিতে ২,৮৭,০০০০০ জন বাস করে যার মধ্যে দুই কোটি সৌদিয়ান আর ৮৭০০০০০ জন বিদেশী। পৃথিবীর এক নাম্বার তেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হাইড্রোকার্বন মজুদকারি। এই তেলের কারণে দেশটির অর্থনীতি যেমন বাড়ছে তেমনিভাবে এর মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকেও উপরের দিকে তাছাড়াও একমাত্র আরব দেশ হিসেবে জি-২০ প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির সদস্য। দেশটি তার অর্থনীতিকে কর্পোরেশন কাউন্সিল ফর দ্য আরব স্টেটস অব দ্য গালফ (জিসিসি) এর মধ্যে ডাইভারছিফাইড করছে। পৃথিবীর চতুর্থ সামরিক খরচ দেশটি বহন করে। দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে ধরা হয়।দেশটি জিসিসি, ওআইসি ও ওপেক এর সদস্য।

রাজনীতি[সম্পাদনা]

রাষ্ট্র রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসিত হয়।[৫] তাই রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বা নির্বাচনের ব্যবস্থা নেই। ১৯৯২ সালে রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে চালু করা মৌলিক আইন অনুযায়ী বাদশাহকে অবশ্যই শরিয়ারপ্রয়োগ করতে হবে এবং এতে কুরআন ও সুন্নাহকে রাষ্ট্রের সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করা হয়।[৬] সংবিধান হিসেবে কোরআানকে গ্রহন করা হলেও এখানে রাজতন্ত্রই বিদ্যমান। প্রথা অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী গোত্রীয় সম্মেলন মজলিসে প্রাপ্ত বয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি বাদশাহর কাছে আবেদন করতে পারে।[৭]

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ[সম্পাদনা]

ভূগোল[সম্পাদনা]

দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলই মরুভূমি। দেশের সবচেয়ে বড় মরুভুমির নাম রাব-আল-খালি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]পশ্চিমাংশ উর্বর।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

সৌদি আরব এর মূল অর্থনীতি পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক; বাজেটে রাজস্ব মোটামুটি ৭৫% এবং রপ্তানি আয়ের ৯০% তেল শিল্প থেকে আসে।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

সৌদি আরবের জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ। এর মধ্যে নথিভুক্ত অভিবাসীর সংখ্যা ৮৮ লক্ষ আর অবৈধ অভিবাসী প্রায় ১৫ লক্ষ। সৌদি আরবের নিজস্ব জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]আরবি ভাষা সৌদি আরবের সরকারি ভাষা। এখানকার ৮০%-এরও বেশি লোক আরবি ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও সৌদি আরবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অভিবাসী সম্প্রদায় আছে, যেগুলিতে বহু বিদেশী ভাষা প্রচলিত। এই সম্প্রদায়গুলিতে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইরান, ইত্যাদি দেশের ভাষাগুলি প্রচলিত। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *