যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা ২০১৭ সর্বসাধারণের মতামত আহ্বান করেছে

ঢাকা, ০১ অক্টোবর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নানা বিতর্ক আর আন্দোলনের মুখে নতুন করে প্রণয়ন হয়েছে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালা। পুরনো নীতিমালা বাদ দিয়ে নতুন করে তৈরিকৃত এ নীতিমালার খসড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। নতুন এ নীতিমালা যেন কোনোভাবে সাংঘর্ষিক না হয় এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেনে চলা যায়, এ মর্মে মন্ত্রণালয় নতুন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে নীতিমালাটি নিয়ে সর্বসাধারণের মতামত আহ্বান করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের নীতিমালা ২০১৭ (প্রস্তাবিত) তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। ওই নীতিমালার ওপর মতামত লিখিত আকারে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শাহীন আরা বেগম, পিএএ, উপসচিবকে sas.film@moi.gov.bd-এ ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

নতুন নীতিমালায় উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো—

  •  যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের কাহিনী মৌলিক হতে হবে।
  •  চলচ্চিত্র নির্মাণে নিয়োজিত পরিচালক, মুখ্য অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর সংখ্যা, যৌথ প্রযোজকরা যৌথ প্রযোজনা চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন। চলচ্চিত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর যৌথ চলচ্চিত্র পরিচালক নিয়োগকে উত্সাহিত করা হবে। তবে সাধারণভাবে যৌথ চলচ্চিত্র প্রযোজনার ক্ষেত্রে প্রধান চরিত্রের অভিনয় শিল্পী এবং মুখ্য কারিগরি কর্মীসহ শিল্পী ও কলাকুশলী সমানুপাতিক হারে নিয়োগের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গায়ক-গায়িকা, সহকারী পরিচালক, নৃত্য পরিচালক, কোরিওগ্রাফার, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক, শিল্পনির্দেশক, বিশেষ দৃশ্য পরিচালক, ব্যবস্থাপকসহ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরাসরি সম্পৃক্ত অন্যান্য ব্যক্তি কারিগরি কর্মী ও কলাকুশলী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
  • বাস্তব কোনো কারণ ও প্রয়োজনে শিল্পী এবং কলাকুশলী সমানুপাতিক হারে নিয়োগ না করে কম-বেশি করার আবশ্যিকতা থাকলে যৌথ প্রযোজনার আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় যথাযথ যৌক্তিকতা প্রদর্শন করতে হবে। বাছাই কমিটির মতামতসাপেক্ষে মন্ত্রণালয় এ বিশেষ অনুমতি দেবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
  • যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র চিত্রায়ণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকেশনে চিত্রগ্রহণের কমপক্ষে সাতদিন আগে স্থান ও তারিখ উল্লেখ করে বাংলাদেশী প্রযোজকের পক্ষ থেকে বিএফডিসিকে অবহিত করতে হবে।
  • যৌথ প্রযোজনার চূড়ান্ত অনুমোদন ও চিত্রায়ণের অনুমোদনের আগে চলচ্চিত্র নির্মাণকাজ ও শুটিং শুরু করা যাবে না। চিত্রায়ণের অনুমতি পাওয়ার পর ন্যূনতম ৭৫ দিন পার না হলে এ চলচ্চিত্র প্রিভিউর জন্য জমা দেয়া যাবে না।
  • যৌথ প্রযোজনার নির্মিত চলচ্চিত্রের যেকোনো প্রচার-প্রচারণায় যৌথ প্রযোজনার বিষয়টি সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর শিল্পী ও কলাকুশলীদের নাম সমানভাবে ও গুরুত্বসহকারে উল্লেখ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর শিল্পীর ছবি সমানভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
  • বিদেশী কোনো প্রযোজক বা পরিচালক যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা ভঙ্গ করলে পরবর্তী সময় তিনি বা তারা বাংলাদেশে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি পাবেন না।
  • কোনো প্রযোজক বা পরিচালক একই বছরে যেকোনো সংখ্যক যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *