বগুড়ায় মাদকের টাকার ঝগড়ায় চার খুন, রহস্য উদঘাটন

বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ১৪ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): বগুড়ার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর চার খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ হেড কোয়াটার্স উইং ও জেলা পুলিশের যৌথ তদন্তের পর হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দী দিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা। তারা হলেন, জুয়েল শেখ (২৫), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) এবং রুবেল (২৭)। তাদের সকলের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলায়।

চার হত্যা মামলার বর্ননা দিতে গিয়ে সোমবার বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বলেন, মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের কারণে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। এরআগে গত সোমবার (৭ মে) শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের ডাবুইর গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় জাকারিয়া, সাবু, হেলাল এবং খবির নামের চারজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই স্থানে চারজনকে জবাই করে ফেলে রাখার ঘটনায় আতঙ্ক ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় নিহত জাকারিয়ার পিতা বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (৮ মে) ৯ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে মাঠে নামে। ঘটনার মাত্র ৬ দিনের মাথায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে সফল হয়েছে পুলিশ। হত্যায় অংশ নেয়া তিনজনকে গ্রেফতার ও রহস্যা উদঘাটন হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা’র প্রসংশা বগুড়া জুড়েই। পুলিশ সুপার এবং পুলিশের প্রসংশায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটে শতশত স্ট্যটাস চোখে পড়ারমত।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বলেন, নিহত জাকারিয়া শিবগঞ্জ উপজেলার কাঠগড়া গ্রামের জুয়েলের কাছে টাকা পেত। এ নিয়ে জাকারিয়ার সাথে জুয়েলের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। ঘটনার রাতে জুয়েল ও তার সহযোগিরা পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে জাকারিয়া ও সাবুকে ডাবইর এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়।

সেখানে জুয়েল, আবুল কালাম আজাদ, রুবেল সহ আরো ৬ জন মিলে জাকারিয়া ও সাবুকে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় ওই এলাকা দিয়ে হেলাল ও খবির নামের দুইজন ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়ার সময় লাশ দু’টি দেখে ফেলে।

এ সময় হত্যাকারীরা হেলাল ও খবিরকে জিজ্ঞাসা করে, তারা লাশ দেখেছে কিনা ? তারা বলে লাশ দেখেছে এবং বলে কে তাদের খুন করলো ? এ কথা বলার পর হত্যাকারীরা ভয় পেয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে হত্যাকারীরা হেলাল ও খবিরকে হত্যার সিন্ধান্ত নেয় এবং তাদেরকেও জবাই করে হত্যা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *