শিবচরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে খোলা রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ১৬ মে ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাদারীপুরে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মাদারীপুর শহর, কালকিনি, রাজৈর ও সদর উপজেলায় দোকান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু শিবচরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে সকাল থেকেই খোলা রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই জেলা শহর ও তিনটি উপজেলায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাণিজ্যকেন্দ্র পুরানবাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে বেড়েছে প্রশাসনের নজরদারি। থানা পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে মাঠে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। এছাড়া দু-একটি স্থানে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও পুলিশ তা বন্ধ করে দিচ্ছে।

অপ্রয়োজনে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা মানুষদের সতর্ক করছে পুলিশের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত। শিবচরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি শিবচরে বেশি। জেলার অন্য তিন উপজেলার তুলনায় শিবচরে আক্রান্ত বেশি এবং যে দুই জন মারা গেছে তাদের বাড়ি শিবচরে। এরপরেও যেখানে জেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে জেলার সকল দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অথচ শিবচরে তার উল্টো চিত্র।

জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে রোববার তার শিবচরে গিয়ে মিটিং করে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবে। গত ১৯ মার্চ দেশের প্রথম শিবচরে দোকান বন্ধ রাখা হয়। আর ১৬ এপ্রিল মাদারীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে গত ১০ মে থেকে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখেন ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে সামাজিক দুরুত্ব না মেনে ও মাস্ক-গ্লালভ এবং জীবানুনাশক ব্যবহার ছাড়া কেনাবেচা করায় দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই লকডাউন চলমান থাকবে বলেও জানান শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমরা দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা পেয়েছি। আমাদের এখানে প্রশাসনের ফোর্সের সংখ্যা কম থাকায় আমরা পুরোপুরিভাবে দোকান বন্ধ করতে পারিনি। চেষ্টা করে যাচ্ছি। মাঠে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম কাজ করছে। দুই এক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর শহরসহ কালকিনি, রাজৈর ও সদর উপজেলায় দোকান বন্ধ রয়েছে। শিবচরে দোকানপাট অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেক আগে বন্ধ করা হয়েছিল। সে হেতু ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা দুইদিন সময় চেয়েছে। আমরা রোববার শিবচরে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নেতৃবৃন্দদের সাথে মিটিং করে দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *