নীলফামারীর তিস্তা ব্যারেজের গোডাউনে অবহেলায় কোটি টাকার যন্ত্রাংশ

নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : উত্তরের পর্যটন শিল্প খ্যাত নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের নির্মান কাজে ব্যাবহৃত যানবাহন সহ যন্ত্রাংশ নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পরেও চাহিদা না থাকার অজুহাতে অযত্নে আর অবহেলায বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে ব্যারেজের গোডাউনে পরে আছে কয়েকশ কোটি টাকার আধুনিক মুলবান যন্ত্রাংশ।

জানাযায়, বাংলাদেশের উত্তরা লের ডালিয়া তিস্তা নদীর উপর ৫৬টি জলকপাট দিয়ে নির্মিত ব্যারেজটি দেশের বৃহৎত্তম সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে।

ব্যারেজের নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯০ সালে। সেচ প্রকল্প ও ব্যারেজটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করেন সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডালিয়া তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্যারেজের কাজ শেষে দেওয়ানীর গোডাউনে খোলা আকাশের নিচে অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে আছে ট্রাক, বেকার, ওযাগন, ঢালাই মেশিন, সহ কয়েকশ কোটি টাকা দামের দামী আধুনিক জিনিস। আর এসব জিনিসপত্র দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকায় ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

তিস্তা ব্যারেজ সূত্র জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ আধুনিক এসব জিনিসপত্র মেরামতের উদ্দ্যোগ না নেওয়ায় ব্যবহার ও চলাচল যোগ্য এই সব যানবাহন, জিনিস ও যন্ত্রাংশগুলো রোদ বৃষ্টি পুরে ভিজে নষ্ট হচ্ছে ও চুরি হয়ে যাচ্ছে এ-র যন্ত্রাংশ। অথচ এক সময়ের এসব সচল আধুনিক জিনিস গুলো বর্তমানে অচল হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় এ-ই সকল জিনিস ও আধুনিক যন্ত্রাংশ অযোগ্য ঘোষনা করতে পারে। এদিকে ডালিয়ার দেওয়ানির গোডাউনে পরে থাকা জিনিসগুলো জং ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার কারনে মেয়াদ উর্ত্তীন হয়ে পরেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিস্তা ব্যারেজের দেওয়ানী গোডাউন কর্মচারী করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার জিনিস ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয় অথচ অর্থের অভাবে গোডাউনে পরে থাকা জিনিস ও যন্ত্রাংশ সমুহ মেরামত করা হচ্ছে না। অথচ এসকল গাড়ী ট্রাক সচল থাকলে দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যাবহার করা যেত।

এলাকাবাসী জানায়, শত কোটি টাকা মুল্যের মুল্যবান জিনিসের জন্য দক্ষ জনবল না থাকায় তা রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরব। দেখার কেউ নেই।

জানতে চাইলে তিস্তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রীক) মো.জুবায়ের ইমতিয়াজ বলেন, ১৫বছর পর্যন্ত যন্ত্রাংশ গুলো ঠিক থাকে, ১৫বছরের অধিক সময় হলে যানবাহনের জিনিস ও যন্ত্রাংশ গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। তবে সচল আছে সেগুলো সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *