রাজারহাটে জমি নিয়ে সংঘর্ষে  দুই গ্রুপের আহত ৫ জন

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১৫ মে ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উমর মজিদ ইউপির ধনঞ্জয় ফুটানীপাড়া গ্রামে ৫০ শতক জমি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের পাচঁজন আহত হয়েছে। জানা যায়, মহামান্য আদালত দেয়া ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ঐ জমিতে।
স্থানীয়রা জানান,সকাল দশটা থেকে বার ঘটিকা পর্যন্ত জমির পূর্ব মালিক সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম সরকার লোকজন ও ইয়াকুব আলীর লোকজনদের মধ্যে ৫০ শতক জমির মালিকানা দাবিতে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। খবর পেয়ে রাজারহাট থানার এসআই জহুরুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করেন।
পরে পরিবেশ পুনরায় উত্তপ্ত হলে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকাবাসীরা জানান, ঐ জমি ক্রয় সুত্রে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম সরকার ভোগদখল করেন। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঐ জমিতে একটি ঘড়, পরে কয়েকটি সুপারি গাছ ও রাতের অন্ধকারে আর একটি খড়ের উঠায় প্রতিপক্ষরা।
এবিষয়ে স্হানীয় এক ব্যাক্তি জাহেরুল ইসলাম বলেন, ১ম ঘড় তোলার পরে দুইপক্ষ কে নিয়ে সমাধান করার নিমিত্তে বসলে, হাকিম সরকার আসেননি এবং দাবি করেন জমির দলিলসহ অন্যান্য কাগজ পত্রাদি তার রয়েছে। এবিষয়ে হাকিম সরকার বলেন, আমি জমি নজির হোসেন নামের ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক কিন্তু প্রতিপক্ষরা জমি দখলের চেষ্টা করলে আমি থানা পুলিশ বরাবর সাধারণ ডায়েরি করি।
বর্তমানে বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আদালতের সিদ্ধান্ত না মেনে রাতের আধারে ঐ জমিতে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঘড় নির্মাণ করেন। আজ আমার জামাই আব্দুর রাজ্জাক ঐ জমির পার্শ্ববর্তী পুকুরে মাছের প্রোজেক্ট দেখতে যায় সেই সুযোগে প্রতিপক্ষরা একলা পেয়ে তার উপরে চড়াও  হয়ে আহত করে।
পরবর্তী দু পক্ষের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ইয়াকুব গংগের দাবি জমির প্রকৃত মালিক কেতু শেখ গং, যিনি এগ্রিমেন্ট জমি রেখেছিলেন নজির উদ্দিন নামের লজিন মাষ্টারের কাছে। সেই সময়ে আর এস রেকর্ডে নজির হোসেনের নামে জমি রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ডে নজির হোসেনের নাম আসায় আইয়ুব আলীর ভাইগণ পরবর্তীতে রেকর্ড পরিবর্তনের জন্য মামলা করেছে বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। এগ্রিমেন্টের সময় শেষ হলে জমির প্রকৃত মালিক হবে কেতু শেখ।
রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ রাজু সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেছি এবং এবিষয়ে কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেন নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *