অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন সীমান্তে রাত জেগে গ্রামবাসীর পাহারা
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি, আল জাবির, ২৭ জানুয়ারি, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এর গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা কে কেন্দ্র করে উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে ভারত থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে জয়পুরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার জন্য গ্রামের বাসিন্দারা রাত জেগে পালাক্রমে এই কাজ করছেন গত ২৪ সে জানুয়ারি থেকে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গত শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজিবি ব্যাটালিয়ন-১৪–এর আওতাধীন করিয়া, ভুটিয়াপাড়া, পাগলাদেওয়ান সীমান্ত বিজিবির সদস্যরা। সভায় সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গ্রামবাসীর সহযোগিতা চায় বিজিবি।
বিজিবির আহ্বানে সাড়া দিয়ে গ্রামবাসী ওইদিন রাত থেকে নেমে পড়েছেন সীমান্ত পাহারায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একদল গ্রামবাসী সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন। আরেক দল পাহারায় নামছেন রাত ১২টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত। গ্রামবাসীকে উৎসাহ দিতে খাবারের ব্যবস্থা করেছে বিজিবি।
ইউপি সদস্য আলাল হোসেন জানান, বিজিবির প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে বুঝিয়ে এ দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পালা করে গ্রামের সবাই এ দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে বিজিবির কড়িয়া সীমান্ত বিওপির নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এর গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে উধ্বর্তন কমকর্তার নির্দেশে ভারত থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পরদিনই তিনি গ্রামের ইউপি সদস্য আলাল হোসেন কে ডেকে গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে বিজিবির সঙ্গে সীমান্ত পাহারায় থাকতে সম্মত হন গ্রামবাসী। ওই রাত থেকেই শুরু হয়েছে সীমান্ত পাহারা।
ভুটিয়াপাড়া বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রহিম জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে মানুষ ঢুকতে পারে, সেজন্য পাহারা দিতে হবে। বিজিবি ক্যাম্পের দুই পাশে কয়েকটা গ্রুপ করা হয়েছে। গ্রুপে ভাগ করে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১টা এবং রাত ১টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত পাহারা দেওয়া হচ্ছে ।
পাগলাদেওয়ান বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মানিক মিয়া জানান, গ্রামটির পশ্চিম পাশে বড় একটি মাঠের পুরো অংশই ভারতীয় সীমানার মধ্যে পড়েছে। মাঠের ধার দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরেখা। টর্চলাইট ও লাঠি হাতে নিয়ে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।