ছাদ থেকে ফেলে অসুস্থ মা’কে খুন, মায়ের মৃত্যু দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা, অধ্যাপক আটক
আন্তর্জাতিক, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে খুন করে, পরে মৃত্যু দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা ছিল সন্দীপ নাথওয়ানি নামে ঐ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের। কিন্তু শেষ রক্ষা ফেলেন না রাজকোট পুলিশের জেরার মুখে। ভেঙে পড়ে নিজের মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সন্দীপ নাথওয়ানি নামে ঐ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। বয়স ৩৬। স্থানীয় একটি ফার্মেসি কলেজের শিক্ষক সে। ঘটনা গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বরের। সন্দীপের মা, ৬৪ বছর বয়সি জয়শ্রীবেন বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে নাথওয়ানি পরিবার দাবি করে, মাথার অসুখে ভুগছিলেন বৃদ্ধা। ছাদে উঠে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। কিংবা আত্মহত্যাও করে থাকতে পারে। কিন্তু এক বেনামি চিঠিতে মোড় ঘুরে যায় তদন্তের। চিঠিতে নাথওয়ানিদের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরামর্শ ছিল। এলাকার ডিসিপি করঞ্জরাজ বাঘেলা জানিয়েছেন, দেখা যাচ্ছে, সন্দীপই ধরে ধরে মাকে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু নামল একা। কিছু পরেই এক জন ছুটে এসে তাকে বৃদ্ধার পড়ে যাওয়ার খবর দেন। সন্দীপ এমন ভান করছে যেন কিছুই জানেন না।
পুলিশের দাবি করেন, প্রথমে সন্দীপ খুনের কথা কিছুতেই স্বীকার করেনি। জানিয়েছিল, মা প্রার্থনা করবেন, তাই সে তাঁকে ছাদে নিয়ে গিয়েছিল। মা তাকে জল আনতে বলায় নীচে নামে সে। তাই তাঁর পড়ে যাওয়ার কথা জানতেই পারেনি। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণ সবই ধীরে ধীরে সন্দীপের বিরুদ্ধে যেতে থাকে। ছাদ থেকে সে মায়ের চটি পরে সে দিন কেন নেমেছিল, তার উত্তর দিতে পারেনি সন্দীপ। বাঘেলার কথায়, বৃদ্ধা কিছু দিন ধরে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের সমস্যায় ভুগছিলেন। শৌচালয় যেতেও সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছিল। সব দিক খতিয়ে দেখে আমাদের সন্দেহ বাড়ে।
বাঘেলা জানান, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সন্দীপ। কবুল করে, মায়ের অসুখ নিয়ে সে ও তার স্ত্রী বিরক্ত হয়ে পড়ছিলেন। ছোট বোনের বিয়ে দেওয়া নিয়েও পরিবারে অশান্তি ছিল। তাই নিজের মাকে সে-ই ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলেছেন। জেরা চলার সময় অসুস্থ বোধ করায় সন্দীপকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই গ্রেফতার করা হবে।