২০২১ সালে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, বাস্তবে ২০১৮-১৯ সালেই শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা (সংসদ ভবন), ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ২০২১ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা নিশ্চিত লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে ২০১৮-১৯ সালেই দেশে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে, সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য শেখ মো. নুরুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বর্তমানে শীতকালে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রায় ৮ হাজার থেকে ৮ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট এবং এর বিপরীতে উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ হাজার ৪৬ মেগাওয়াট, ফলে বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। গ্রীষ্মকালে সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা, গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে প্রাপ্ত চাহিদার তথ্য অনুযায়ী আসন্ন সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মকালীন সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ১১ হাজার ৫শ’ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা নিশ্চিতকল্পে বিদ্যুৎ খাতে যুগোপযোগী বাস্তবসম্মত টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন করে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে মোট ১৩ হাজার ৭৭১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। ৫ হাজার ৯২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০ হাজার ৭৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের ৩টি স্থান থেকে ২ হাজার ৩৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শুরু হবে। বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।