সুবর্ণচরে নলকূপে পানি উঠছেনা, দুর্ভোগে মানুষ
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বিভিন্ন গ্রামের ভূগর্ভস্ত পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলার বেশির ভাগ নলকূপ দিয়ে পানি উঠছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরবাটা, পূর্ব চরবাটা, চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পানির চরম সংকট চলছে। পাশাপাশি হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডও ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে উপজেলার কিছু কৃষি জমি অনাবাদি থাকছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণ চলমান খরা ও অনাবৃষ্টি। শিগগির বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে তাঁরা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন জানান, পানির জন্য মানুষ এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি ছুটছে। কোথাও গভীর নলকূপে পানি উঠছে সামান্য, আবার কোথাও উঠছে না পানি। যেখানে সামান্য পানি উঠছে সেখানে আবার লম্বা লাইন।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রামে পুকুর ও ডোবায় পানি না থাকায় গোসল ও গবাদিপশুর পানির জন্য নলকূপই একমাত্র ভরসা। কিন্তু নলকূপে পানি উঠছে কম।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের মধ্যে এ মাসে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমেছে। বৃষ্টি না হলে পানির সংকট তীব্রতর হবে। ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভে পানি শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার ফলে এই শূন্যতা আরও বেগমান হতে পারে। এই শূণ্যতা দীর্ঘায়িত হলে ভূগর্ভে সমূদ্রের লোনা পানি ডুকে যেতে পারে। ফলে সুপেয় পানির র্দীঘ মেয়াদী অভাব হতে পারে। তাই ভূগর্ভস্ত পানি রক্ষায় কৃষি কাজের জন্য আমাদের উপরি ভাগের পানির সঞ্চয় করার বিকল্প নেই।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম ইবনুল হাসান ইভেন বলেন, মাটির গভীর স্তরের পানি রক্ষায় অবৈধ ও অপরিকল্পিত গভীর নলকূপের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। এই অঞ্চলের কৃষকদের উপরি ভাগের পানি সঞ্চয় করতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।