সাতক্ষীরায় স্বামীকে মারপিটের করার প্রতিবাদ করায় গৃহবধু খুন, আটক-৩
সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি, হেলাল উদ্দীন, ২৫ আগস্ট, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সাতক্ষীরার তালায় স্বামীকে মারপিট করার প্রতিবাদ করায় গৃহবধু নাসিমা বেগম (৪৫) কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর থেকে খুনিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে তালা উপজেলার মহান্দি গ্রামে। নিহত গৃহবধূ নাসিমা বেগম এই গ্রামের নাজের শেখের স্ত্রী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হলেও তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেল মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
নিহত গৃহবধুর ননদ শাহানারা বেগম জানান, মিথ্যা অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার বিকালে মহান্দি বাজারে নাজের শেখকে বেধম মারপিট করে প্রতিবেশি করিম মোড়ল’র ছেলে মনিরুল মোড়ল ও নরিম মোড়লের ছেলে মিন্টু মোড়ল। এতে নাজের শেখ গুরুতর আহত হয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার দুপুরে আহত নাজের শেখ’র স্ত্রী নাসিমা বেগম গভীর নলকূপের পানি আনতে যেয়ে মনিরুল ও মিন্টু’র দেখা পায়। এ সময় তিনি তাদের কাছে স্বামীকে মারপিট করার কারন জানতে চায় এবং প্রতিবাদ করে। একপর্যায়ে মিন্টু মোড়ল সহ মনিরুল মোড়ল ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম ও তার দু’বোন আমেনা ও জামেলা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে নাসিমা বেগমের মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এসময় এলাকার লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় নাসিমা বেগমকে উদ্ধার ককরে মহান্দি বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার শহিদুল মোল্যার কাছে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায়। এখান থেকে বাড়ি আনার পর মঙ্গলবার সকালে নাসিমা বেগম মারা যায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আহত গৃহবধূকে হুমকি দিয়ে তালা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করাতে দেয়নি হামলাকারীরা।
এছাড়া, গ্রাম্য ডাক্তার শহিদুল মোল্যা অবস্থা আশংকাজনক দেখার পরও অধিক টাকার লোভে নাসিমা বেগমকে নিজেই চিকিৎসায় রাখেন এবং বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হত্যা ঘটনার সংবাদ পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (তালা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির ও তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেল সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।