সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান মাহফুজা চৌধুরী
বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ১৩ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): সংরক্ষিত কোটায় এমপি হতে চান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নারী নেত্রী মাহফুজা চৌধুরী। দলের সাংগঠনিক কাজে গতিশীল এই নেত্রী আশান্বিত হয়ে উঠেছেন। সাধ্যমতো দলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছেন। ব্যাপক প্রচারণাসহ গণসংযোগ, পথসভা, মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে যাচ্ছেন।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগে ১৯৯৭ সাল থেকে পরপর নির্বাচিত সভানেত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের সহধর্মীনি মাহফুজা চৌধুরী এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগনেত্রী। তিনি উপজেলার কাথম সৈয়দ জুমুল দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষিকা (ইংরেজি) কর্মরত এবং নন্দীগ্রাম জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান। তার প্রচেষ্টায় শতশত অসহায় নারীরা এখন স্বাবলম্বী।
মাহফুজা চৌধুরী জানান, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা গ্রামে চৌধুরী পরিবারে ১৯৬৩ সালের ৩০ জুন মরহুম আব্দুল হামিদ চৌধুরী ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা চৌধুরীর কোলজুড়ে জন্ম নেন তিনি। পরিবারে তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ৫ম। তার বড় ভাই মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী। তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পরিচিত এক সক্রিয় মুখ। মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজানুর রহমান চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের আবৃত্তি শিল্পী। স্বাধীনতাযুদ্ধকালে আবৃত্তিকার ও মহান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাট্যকার ছিলেন।
মাহফুজা চৌধুরী ১৯৮২/৮৩ সালে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্রলীগ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এরপর ১৯৮৪ সালে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের মনিনাগ গ্রামের রফিকুল ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিও আওয়ামী লীগের সক্রিয় সংগঠক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ছাত্র জীবন ১৯৭১ সাল থেকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। এরপর ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন রফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হতে রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরছেন মাহফুজা চৌধুরী। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের কথা বিবেচনা করা হলে সংরক্ষিত আসনে তিনিই মুল্যায়ন হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে নানান ভাবে জড়িত আছেন। জনমুখী ও নানা ইতিবাচক কর্মকান্ড আর সুখে-দুখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকায় সর্বত্রই আলোচনায় এসেছেন এই নারী নেত্রী।
মাহফুজা চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের আশা-আকাঙ্খার কথা জেনেছি। আমি আওয়ামী লীগের তৃনমূলের একজন কর্মী হিসেবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এ ধারা অব্যহত রাখতে চাই। আমি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।