রাজারহাটে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন মামলায় ২আসামীর ৫দিনের রিমান্ড
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ০৮ আগস্ট, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী ধর্ষন ও বাড়ি ডাকাতি মামলার দুই আসামীর পৃথক ৫দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুল মালেক দুদিনেই পুলিশকে অনেক গুরুত্ব তথ্য দিয়েছে।
জানা গেছে, উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুস ছালামের ১০দিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার মামলার তদন্তকারী সকর্মকতার ও রাজারহাট থানার ওসি তদন্ত পবিত্র কুমার কুড়িগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মিলন চন্দ্র পাল উক্ত আসামী আঃ ছালামের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরআগে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বড় গ্রামের উমর আলীর পুত্র আঃ ছালাম চোর (৪৫) কে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
এদিকে গত বুধবার রাতে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত পার্শ্ববর্তী লালমনির হাট জেলা সদরের সিংহীদাহ গ্রামের আঃ রাজ্জাকের পুত্র আব্দুল মালেক (৩৮) কে গ্রেফতার করে। গত বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পুলিশ আসামী মালেকের ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তারও ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৫দিনের মধ্যে অতিবাহিত দু’দিনের রিমান্ডেই আসামী মালেক ধর্ষন ও ডাকাতির মামলায় জড়িতদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য,গত ২৬জুলাই দিবাগত রাতে মুষুলধারে বৃষ্টি চলাকালীন সময় উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর খন্ডক্ষেত্র গ্রামে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে মুখোশ পরিহিত তিন দুস্কৃতকারী কক্ষের ভিতর প্রবেশ করে। এসময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিছু বুঝে উঠার আগেই দুস্কৃতকারীরা মেয়েটির পিতাকে ধারালো অস্ত্রাঘাতে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এক পযার্য়ে তার পিতা সজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এসময় মেয়েটির মা এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে খাটের সাথে বেঁধে রাখা হয়।
পরে ওই কক্ষের আলমারীর দরজা খুলে নগদ ২লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বণার্লংকার লুট করে মুখোশ পরিহিতরা। শেষে অপর কক্ষের দরজা ভেঁঙ্গে বাড়ি ওয়ালার ৯ম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববতর্ী ইউক্লিপটাস বাগানে ধর্ষন করে লম্পটরা। এঘটনায় ২৭জুলাই রাতে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এলাকাবাসী আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবীতে দুদফা মানব বন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করে।
এরপর তৎপর উঠে পুলিশ প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে রাজারহাট থানা পুলিশ কুড়িগ্রাম ডিবি পুলিশ ও লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের সহায়তায় গত বুধবার রাতে আঃ মালেককে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মামলার তদন্তকারী সকর্মকতা ও রাজারহাট থানার ওসি তদন্ত পবিত্র কুমার জানান, রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মালেক নিজে জড়িত থাকা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। শনিবার অপর আসামী আঃ ছালামের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি ।
কুড়িগ্রাম ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্তকারী সকর্মকতা রাজারহাট থানার ওসি তদন্ত আমরা তাকে সহযোগীতা করছি।