মাদারীপুরে ১০ টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী দিল বায়জিদ হাওলাদার
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ১২ এপ্রিল ২০২০ ইং (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বর্তমান এই করোনা মহামারীতে দেশের দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, ধনী সকল পরিবারই আজ নিজ নিজ ঘরে অবরুদ্ধ। থমকে গিয়েছে গোটা দেশ। সমাজের সচ্ছল পরিবার গুলো তাদের প্রয়োজনেরও অধিক পরিমানে খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন, প্রয়োজন মাফিক পুনরায় সংগ্রহ করে নিচ্ছেন তারা। নিন্ম আয়ের ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো তাদের সংগ্রহকরা বাজার সামগ্রী ফুরিয়ে নিজ ঘরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে প্রশাসনের সকল নির্দেশ অমান্য করে পেটের তাগিদে দরিদ্র অসহায়েরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করছেন খাদ্য। পুরো দেশ জুড়েই এমন চিত্র।
বাংলাদেশ করোনা আক্রান্ত হলে, মাদারীপুরকে সর্বপ্রথম ঝুঁকিপুর্ন জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একে একে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ আসার কারনে জণশুন্য হয়ে পরে মাদারীপুর জেলার রাস্তা ঘাট। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভুলে জেলার পুলিশ, প্রশাসন ও স্বল্পসংখ্যক রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রতিনিয়ত অসহায় দরিদ্রের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। তেমনই একজন মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বায়জিদ হাওলাদার। নিজের জীবনের নিরাপত্তার চিন্তা না করে প্রতিনিয়ত মাদারীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন দলীয় কর্মীদের ও তাদের পরিবারের, সেই সাথে নিজ স্বাধ্য অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে পৌঁছে দিচ্ছেন তাদেরকে। গত ১০ দিনে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, খোয়াজপুর, ঝাউদি, কালিকা
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বায়জিদ হাওলাদার জানান, এইতো কিছুদিন আগেও দলের প্রয়োজন যখনই ডেকেছি দলকে ভালবেসে তাৎখনিক ছুটে এসেছেন এই সকল নেতা কর্মীরা। আজ এই দুর্দিনে নিজ দায়িত্ব বোধ থেকেই ওদের কাছে ছুটে যাচ্ছি ওদের খবর নিতে। ইনশাআল্লাহ এই মহামারী বেশী দিন থাকবেনা। সবকিছুই আগের মত স্বাভাবিক হবে। তবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার কিছু রাজনৈতিক সহকর্মীগন ঐ সকল প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গিয়েছেন আমার সাথে তাদেরকে। সেই সাথে আমার এই কাজে অনুপ্রেরনা দিয়েছেন আফম বাহাউদ্দীন নাসিম পাশাপাশি এর নির্দেশনায় ছিলেন মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ। আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদেরকে।