বড়াইগ্রামে নাতিকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার দাদী
নাটোর (বড়াইগ্রাম) প্রতিনিধি, আসাদুজ্জামান, ০২ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নাটোরের বড়াইগ্রামের মানগাছা খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে আদরের ৪ বছর বয়সী নাতিকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দাদী। আর দাদীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। বুধবার (২ মে) এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার জোনাইল পার্বনী গ্রামের আলফ্রেড কস্তার ছেলে বিপ্লব কস্তার সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার নগর ইউনিয়নের মানগাছা গ্রামের মন্টু দাসের মেয়ে দিথি দাসের। তাদের ঘরে কাব্য কস্তা নামে চার বছরের এক সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এমন সন্দেহে বিপ্লবের সাথে এ নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো।
এক পর্যায়ে স্ত্রী দিথি দাস তার চার বছরের ছেলে কাব্যকে মানগাছা বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় চাকরীতে যোগদান করেন। গত শুক্রবার বিকালে আদরের নাতিকে দেখতে বিপ্লবের চাচী নির্মলা রিবেরু দিথিদের বাড়িতে গেলে দিথির মা রমনি পাল, বোন পপি দাস সহ পরিবারের অন্যান্যরা দাদীর উপর হামলা চালায়। এ সময় পপি দাস ইট দিয়ে শিশুটির দাদীর মাথায় আঘাত করতে গেলে তা ঠেকাতে এসে ওই ইটেরই আঘাতে জখম হন দিথির মা রমনি পাল।
পরবর্তীতে এ নিয়ে জোনাইল খ্রিষ্টান প্যারিস কাউন্সিলে দাদী নির্মলা রিবেরু বিচার প্রার্থনা করলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রমনি পাল বাদী হয়ে দিথির শ্বশুরবাড়ির পরিবারের ৬ সদস্যকে আসামী করে থানায় উল্টো হত্যার চেষ্টায় হামলা ও গুরুতর আহত হয়েছে মর্মে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন ডালু জানান, খুবই তুচ্ছ ঘটনা এটি। বিষয়টি ইউপি আদালতেই নিষ্পত্তি করা যেতো। কিন্তু দীর্ঘদিনের পারিবারিক ক্ষোভ ঝাড়তেই থানায় মামলা দায়ের করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহরিয়ার খাঁন জানান, মামলার বাদীকে বুঝানো হয়েছিলো বিষয়টি প্যারিস কাউন্সিল বা ইউনিয়ন পরিষদে সুরাহা করতে। কিন্তু তিনি কোন কথা শুনেননি।