ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপরে, ২০ গ্রাম প্লাবিত
জানাগেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রমের ফলে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে৷ ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, খাটিয়ামারী, ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পঢুকতে প্লাবিত হয়েছে । তিস্তা, ঘাঘট নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ৷
পানির স্রোতে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এলাকার লোকজনের মাঝে বন্যা ও ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বসতবাড়িতে বন্যার পানি উঠায় গবাদিপশু নিয়ে অনেকে পড়েছেন বিপাকে। তবে পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা বা তথ্য এখনও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি ৷
ফুলছড়ির উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহাতাব উদ্দিন জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে গত কয়েকদিনের ভাঙনে উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া ও কাবিলপুর এলাকার ৪৬টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান গাইবান্ধায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১২ ঘন্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে ১২ ঘন্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে৷