নরসিংদীর মনোহরদীতে বজ্রপাতে গৃহবধূ ও কাপাসিয়ার কৃষক নিহত, আহত ১৫ শিহ্মার্থী
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ০৮ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত এক গৃহবধূ আহত ১৫ শিহ্মার্থী, চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা দেন মোমবাতি জালিয়ে।বুধবার (৯ মে) দুপুরে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত সাথে প্রচন্ড বজ্রপাত শুরু হয়। উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তাঁরা কান্দী উচ্চ বিদ্যালয় ও তাঁরা কান্দী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিহ্মার্থী আহত। নিহত হয় ঐ গ্রামের এক গৃহবধূ।
এলাকাবাসী ও শিহ্মকরা বলেন, দুপুরে ক্লাস চলাকালে বৃষ্টিপাতের সাথে প্রচন্ড বজ্রপাত শুরু হয়, বজ্রপাতে শিহ্মার্থীরা আহত হয়ে পড়ে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। আহতরা হলেন,তাঁরা কান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম ও ৭ ম শ্রেণীর শিহ্মার্থী, জজ মিয়া মেয়ে তায়েবা, সাহাব উদ্দিনের মেয়ে স্মৃতি, এমদাদুল হকের মেয়া সাদিয়া, বিল্লাল হোসেনের মেয়ে খিয়া, আবুল কাশেমের মেয়ে বৃষ্টি, কামাল মিয়ার মেয়ে অনিকা, আসাদুল্লাহর মেয়ে রেমি, আল আমিনের মেয়ে গল্প, বসির উদ্দিনের মেয়ে তামান্না, আহমেদ আলীর মেয়ে আজ্ঞুমান, মারিয়া, রাবেয়া, শিলা ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সবিতা।
বজ্রপাতে নিহত হয় চর তাঁরা কান্দী গ্রামের কাজল মিয়ার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৩৫)। অপর দিকে নিহত হয় গাজীপুর জেলা কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল দহ্মিন গাঁও গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে মোতালেব ভূইয়া। কর্তব্যরত চিকিৎসক মোনামীম জেমী সাংবাদিকদের বলেন, দেড়টায় বজ্রপাতে ১৭ জনকে নিয়ে আসেন চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। এদের মধ্যে ২ জন মৃত ছিলেন, অপর আহত ১৫ জনকে বিদ্যুৎ ছিলনা বলে মোমবাতি জালিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
দু’জনের অবস্থা আশংকা জনক বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরন করা হয়েছে। চিকিৎসক আরোও বলেন, আজ আইপিএস’র চার্জ ছিল না, জেনারেটরে তেল ছিলনা ও বিদ্যুৎ না থাকার কারনে আমাদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তার পরও আমরা মোমবাতি ও মোবাইল টর্চ দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।