কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে প্রকাশ্যে খুন!
কুমিল্লা প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ২৬ জুন, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লার কান্দির পাড়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে এক যুবককে। ইজাজ নামে ওই যুবকের বাড়ি সদর উপজেলার আমরাতলী ইউনিয়নের মনিপুর গাবতলী এলাকায়, তার পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম। রোববার সন্ধ্যায় নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় ফাইন্ড টাওয়ারের সামনে তাকে দুর্বৃত্তরা দুই পায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশংকা জনক অবস্থায় ইজাজকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, ইজাজ সৌদি প্রবাসী ছিলো। বর্তমানে ঢাকায় একটি বিস্কিট ফ্যাক্টরিতে কাজ করছে। সে তার বন্ধুকে বলেছে, একজন মেয়ের সাথে তার আর্থিক লেনদেন রয়েছে। সে সন্ধ্যায় তাকে কান্দিরপাড় আসতে বলে। সে ঢাকা থেকে এসে আর বাড়ি যায় নি। তবে সে যখন কান্দিরপাড় আসে তখন ফাইন্ড টাওয়ারের সামনে দুই যুবক এসে তার সাথে ঝগড়া শুরু করে, পরে আরো ৫/৭ জন সেখানে যুক্ত হয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে।
তিনি আরো জানান, যারাই এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদেরকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টীম তাদের ধরতে কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অন্তত দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, খন্দকার হক টাওয়ারের সামনে বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের সাথে কথা বলে দৃশ্যপটের বাইরে চলে যায় ইজাজ। এরপরেই ছুরিকাঘাতে আহত ইজাজকে ফাইন্ড টাওয়ারের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হয়ে আনন্দ সিটি সেন্টারের সামনে এসে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়।
কান্দিরপাড় এলাকার আনন্দ সিটি সেন্টারের সামনে অন্তত দুইজন হকার ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিছুটা পূর্ব দিক থেকে আহত অবস্থায় দৌড়ে এসে ইজাজ আনন্দ সিটি সেন্টারের সামনে লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে লোকজন তাকে ধরে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যায়। সে সময় তার দুই পা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শাওন শিকদার জানান, ইজাজ নামে আহত ব্যক্তির দুই পায়ের হাটুর উপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতের স্থান থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার আগে ইজাজকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলো।