ইউপি নির্বাচনে সোহেলকে নৌকার কান্ডারী দেখতে চায়
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লুৎফুল হায়দার চৌধুরী, ৩১ মার্চ, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাটখিল উপজেলার ০১নং সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রনেতা, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী সাজ্জাদ হায়দার সোহেলকে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় নেতাকর্মীরা। অত্র ইউনিয়নে ত্যাগী, সংগঠক ও কর্মীবান্ধব এই তরুণ নেতাকেই নৌকার যোগ্য কান্ডারী বলে মনে করছেন ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি একজন শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
সাজ্জাদ হায়দার সোহেল সাহাপুর ইউনিয়নের প্রসাদপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ও আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম এম.এ বারী অত্র অ লে একজন দানবীর ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুপরিচিত। তার বাবা জমি ও নগদ অর্থ দিয়ে বহু স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, মসজিদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে অবহেলিত এই জনপদকে আলোকিত করেছেন। বাবার আদর্শে লালিত তরুণ এই নেতা স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। এরপর ১৯৯৪ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০২ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১২ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যবদি সফলতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাজনৈতিক জীবনে ২০০১ বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর তিনি বহু হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন।
তরুণ এই নেতা বাবার মত শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবেও বেশ পরিচিত। তিনি ইউনিয়নের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে জনসেবা করে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে সোমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, খোয়াজের ভিটি ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার সহ-সভাপতি ও সোমপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী, প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া এলাকার গরীব শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ, বিভিন্ন সময়ে দুস্থদের চিকিৎসা খরচ এবং দুস্থ মেয়ের বিবাহের খরচসহ বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দান অনুদান দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে সরকারি অনুদান ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে কয়েক’শ পরিবারকে ত্রাণ সহযোগিতা করেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানায়, একসময় এতদ্ব অ লে বিএনপি-জামায়াতের আধিপত্য ছিল। বর্তমান সভাপতির রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও ব্যক্তি ইমেজের কারণে অত্র ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয় সভাপতির বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে বর্তমানে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ, সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন সভাপতি সাজ্জাদ হায়দার সোহেলই ন্যায্য প্রাপ্য বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।
একান্ত সাক্ষাৎকারে সাজ্জাদ হায়দার সোহেল বলেন, আমার নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত উন্নয়নের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন সহযোগি হিসেবে কাজ করতে চাই। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। দল সঠিক মূল্যায়ন করলে আমি দলীয় মনোনয়ন পাবো ইনশআল্লাহ। তিনি বিগত নির্বাচনে নেতাদের আশ্বাসের কথা স্মরণ করে বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম।
পরে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট করে বিপুল ভোটে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করি। তখন নেতারা ২০২১ সালে আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আশ্বাস দেন। তাই নেতাদের আশ্বাস অনুযায়ী এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছি। ইনশআল্লাহ আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অবহেলিত এই ইউনিয়নে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও ডিজিটাল ইউনিয়নে রূপান্তর করবো। এ জন্য সকলের দোয়াও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।