আওয়ামী লীগের সংগ্রামে-সংকটে ছিলেন মিথুন ভট্ট
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূৎফুল হায়দার চৌধুরী, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সংগ্রাম ও সংকটে ছিলো বীরত্বগাথা ইতিহাস। দলের দুঃসময়ে অসহায়-নিপীড়িত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাহস যোগানো নেতা মিথুন ভট্ট। রাজনীতির বরপুুত্র মিথুন ভট্ট ছাত্র রাজনীতি থেকে এখন পর্যন্ত অসংখ্যবার জেল জুলুম, ডিটেনশান, অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে আজও নেতাকর্মী ও জনগনের ভালোবাসায় টিকে আছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিথুন ভট্ট বলেন, ছাত্রজীবন থেকে দলের সংগ্রাম ও সংকটে ছিলাম। গত ১২ বছর দলের সু-সময়ে অর্থ উপার্যনে ছিলাম না। দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, জেলা শহরে হাজার হাজার নেতাকর্মী সৃষ্টির কারিগর মিথুন ভট্ট ব্যক্তিগত জীবনে নির্লোভ সাদাসিদে জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। নিরংহকারী যোগ্যতা সম্পন্ন সাদা মনের মানুষটি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে ছাত্র রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করে নিজ দলের চেইন অব কমান্ড ফিরেয়ে আনার ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। তিনি বরাবরই নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
কর্মীরা বলেন, নোয়াখালীর রাজনীতিতে এমন অসংখ্য উদাহরণ সৃৃষ্টিকারী মিথুন ভট্ট বিগত নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান প্রস্তাবিত কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে কেন্দ্রে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও তিনি অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে দলে আরো ভালো অবস্থানে মূল্যায়িত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
মিথুন ভট্ট ১৯৮৭ সালে ৪ঠা জানুয়ারী নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় সবপ্রথম বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৮৭ সালে নোয়াখালীর রাজনীতির অঙ্গনে রাজপথ ছিলো উত্তপ্ত কিন্তু নেতৃত্ব ছিলো শুন্য। হাজার হাজার ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে মিথুন ভট্ট তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বের কারণে মিথুন ভট্ট তৎকালীন সময়ে আলোচনার শিরোমনি হন।
১৯৯২-৯৩ সালে তার নেতৃত্ব প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ নোয়াখালী শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৯৯৬ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ /৯৮সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং তিনি দায়িত্ব গ্রহণ না করে ছোট ভাই ইমন ভট্টকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব করেন এবং কেন্দ্র সম্মেলনে তা অনুমোদন প্রদান করে।
পরবর্তীতে মিথুন ভট্টকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে। ১৯৯০ সালের পরে বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনে, মিছিল, মিটিংয়ে অংশ গ্রহন ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামাত চারদলীয় জোট সরকারের দমন, নিপিড়ন ও হামলা-মামলার প্রতিবাদে ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা অসংখ্যবার কারাবরণ ও ডিটেনশন ভোগ করেন। বিএনপি-জামাত চারদলীয় জোট সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী অবস্থায় তার পিতা হার্ট এট্যাকে মৃত্যু বরণ করেন।
পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে প্যারালে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি জেল থেকে প্যারালে মুক্তি পেয়ে পিতার সৎকারে অংশগ্রহন করেন। বিএনপি. জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর অপারেশান ক্লিন হার্টে ভাগ্যক্রমে তিনি গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হলে তার ছোট ভাই বর্তমান জেলা যুবলীগ আহবায়ক ঈমন ভট্ট গ্রেফতার হয়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে ওয়ান ইলেভেনে মিথুন ভট্টর বাসায় বেশ কয়েকবার সেনা অভিযান চালানো হয়েছে।
কিন্তু জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ায় তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার বা কোনভাবে আটক করতে পারে নাই। এভাবে বহুবার ব্যর্থ অভিযান চালানো হয়েছেএ দল ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নির্লোভ এ মানুষটি দলের সকল মিছিল-মিটিং এ সক্রিয় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। প্রকৃত অর্থেই দল ক্ষমতায় কিন্তু সকল লোভ লালসার উর্ধ্বে একজন নিরংহকার মানুষ মিথুন ভট্ট নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন। পারিবারিকভাবে তিনি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সস্তান। শিক্ষাগত ও সকল যোগ্যতার বিচারে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে মেয়র পদে পদায়নের দাবি নেতাকর্মীদের।
আরও খবরঃ-
**নোয়াখালীর সেনবাগের মোহাম্মদপুরে শয়ন কক্ষে দরজা ভেঙ্গে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার**
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূৎফুল হায়দার চৌধুরী, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নে শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙে রোমানা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। আজ সোমবার সকালে লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত রোমানা আক্তার উত্তর মোহাম্মদপুর গ্রামের মাস্টার পাড়া এলাকার করিম মাস্টার বাড়ীর প্রবাসী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে সৌদি আরব প্রবাসী মোশারফের সাথে মোহাম্মদপুর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোমানার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ২-৩বছর আগে বিদেশ চলে যায় মোশারফ। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মোশারফের বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয় রোমানার। ৪-৫দিন আগে নিজের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে ভেড়াতে যায় রোমানা। গতকাল রবিবার দুপুর ১টার দিকে নিজের ছেলেকে বাবার বাড়ীতে রেখে স্বামীর বাড়ীতে একা আসে রোমানা।
বিকেল গিয়ে রাত হলেও নিজের কক্ষ থেকে রোমানাকে বের হতে না দেখে ঘরের লোকজন তার দরজায় নাড়া দেয়। কিন্তু ভিতর থেকে কোন শাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ডুকে প্লোরে রোমানার লাশ পড়ে থাকতে দেখে তারা। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, খবর পেয়ে রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নিহতের লাশের পাশ থেকে ট্যাবলেটের ৩টি পাতা পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।