অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ০৪ এপ্রিল, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর শিশুটির (৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন (২২) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দিতে জানায়, বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে নিজের ঘরে প্রথমে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটি চিৎকার করায় এবং তার অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় তার মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।হত্যার পর ও শিশুটিকে আবারো ধর্ষণ করা হয়। গত শনিবার ২ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মেঘা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাহাদাত হোসেন মেঘা গ্রামের বাবুলের ছেলে। সে নিহত শিশুটির চাচাতো ভাই।
সোমবার ৪ এপ্রিল সকালে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শাহাদাত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর নিজের বাবার সাথে আড়ৎ দেখাশুনা করতো এবং তার পাশাপাশি বাড়িতে তার একটি মুরগির খামার চালাত।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গ্রেপ্তারের পর ৩ এপ্রিল রোববার বিকালে আসামি শাহাদাত হোসেনকে জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে সে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, নিহত শিশুটির ওপর দীর্ঘদিন ধরে কুনজর ছিল তার (শাহাদাত হোসেন)।
এর সূত্র ধরে গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে (শিশুটিকে) বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে, এসময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে একটি পলিথিন মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে মরদেহটি পাশ্ববর্তী বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে পেলে দেয় শাহাদাত। পুরো ঘটনা সে একাই ঘটিয়েছে বলেও স্বীকার করে সে। গ্রেফতারের পর শাহাদাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে রোববার বিকেলে আসমার মরদেহ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আসামি শাহাদাতকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে আসামি শাহাদাত হোসেন নিহত শিশুটির ‘আপন চাচাতো ভাই নয় বলে নিশ্চিত করেছেন নিহত শিশুটির বাবা মো. শাহাজাহান। তিনি বলেন, ‘শাহাদাত আমার জেঠাতো ভাই বাবুলের স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তান।
এদিকে, শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রোববার বিকেলে হত্যাকারী শাহাদাত হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মেঘা গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্টুডেন্টস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। এতে নিহতের স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগন অংশগ্রহন করে।