নোয়াখালীর কবিরহাটে দখলদার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ০৩ এপ্রিল, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের বড় রামদেবপুর গ্রামে এক দখলদার ও চাঁদাবাজের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসি। অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তির নাম মাহবুব-উল-আলম দুলাল। ওই ব্যক্তি এলাকাবাসির জায়গা দখল, চাঁদা দাবী, তুচ্ছ ঘটনায় মানুষকে হরানীমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

শনিবার সকালে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচারের দাবিতে কবিরহাট বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ভুক্তভোগী এলাকাবাসি। পরে অভিযুক্ত দুলালের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা। ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে নারী-পুরুষসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

শুধু এলাকার মানুষ নয় তার নিজের আপন ভাই, ভাতিজা কিন্বা বোনেরাও রেহাই পাননি তার মামলা-হামলা ও নির্যাতন থেকে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, মাহবুব-উল-আলম দুলাল নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা, আবার আওয়ামীলীগ নেতা দাবী করে এবং তার সন্তান পুলিশ হওয়ায় যা ইচ্ছে তা করে বেড়াচ্ছে এলাকায়। যিনি ২০০১ পরবর্তী জোট সরকারের আমলেও এলাকায় চালিয়েছেন তান্ডব। ২০০৯ সালেও যিনি ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক। কেউ মাছের প্রজেক্ট করলে তার কাছ থেকে চাঁদা দাবী, অন্যের জায়গা দখল, তুচ্ছ কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী দিয়ে মারধরসহ নানাভাবে তার দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছেন সাধারণ লোকজন।

এ পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে অন্তত অর্ধশত মামলা দায়ের করেছেন দুলাল। তার বিরুদ্ধে ইউপি পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা মানববন্ধন করেছে। তার মামলার দ্বারা নিঃস্ব হয়েছেন এলাকার সালা উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মামনুর রশিদ, শেখ জাবেদ, ফজলুল হক সারেং ও মকবুল আহমদ’সহ অনেকে। তাদের দাবি দুলালের এমন অত্যাচার থেকে সাধারণ এলাকাবাসিকে রক্ষা করতে দ্রুত প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে দুলালের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আরও কঠোর কর্মসূচী দিবেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত মাহবুবউল আলম দুলাল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করায় তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ রটাচ্ছে। যারা মানববন্ধন করেছে তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত ও ভিন্ন এলাকার মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *