হারিয়ে যাচ্ছে গরু দিয়ে হাল চাষ, তীব্র শীতে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত নরসিংদীর কৃষক তাঁরা মিয়া

নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম  নিউজ ২৪) :  তীব্র শীতে ও ব্যস্ত গরু দিয়ে হাল চাষি তাঁরা মিয়া।হারিয়ে যাচ্ছে নরসিংদী থেকে গরু দিয়ে হাল চাষ। কৃষক তাঁরা মিয়া বলেন,আমার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে, মেয়ে আমার স্বামীর সংসারে ছেলে বিদেশে।দীর্ঘ ২৫ থেকে ৩০ বছর দরে তাঁরা মিয়া গরু দিয়ে হাল চাষ করেন। কৃষক তাঁরা মিয়ার প্রায় ১০ বিঘা জমি আছে এই গরু দিয়েই তিনি হাল চাষ করে জমি আবাদ করেন। আমন ঘরে তোলার পর এবার ইরি-বোরো চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন নরসিংদী জেলার কৃষক। আমন ধান কাটা- মাড়াই শেষে বোরোর আবাদ নিয়ে ব্যস্ত চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বীজতলার ক্ষতি হয়নি। পৌষ-মাঘ মাস ঋতু বৈচিত্রে শীতকাল। কথা হয় রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদের কৃষক জসিম ও পলাশ উপজেলা ডাঙ্গার সামসু মিয়ার  সাথে তারা বলেন, কৃষকের জন্য বোরো ধানের চারা রোপনের গুরুত্বপূর্ণ ও সুবর্ণ সময় এই শীতকাল। এখন তারা আর আগের মত আর গরু দিয়ে হাল চাষ করতে পারেনা, বয়স অনেক হয়েছে। তাই মাঝে মাঝে একটু  গরু দিয়ে হাল চাষ করেন জসিম ও সামসু মিয়া বাব দাদার স্মৃতি দরে রাখেন তাদের মাঝে। তাই প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ ও পৌষের কুঁয়াশা উপেক্ষা করে নরসিংদীর কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত মৌসুম আসার আগে থেকেই শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান চাষের আগাম প্রস্তুতি। কার্তিক অগ্রহায়ন মাসে কৃষকেরা শুরু করেছে আগাম বীজতলা তৈরীর কাজ। কালবৈশাখীর কবল থেকে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরী ও ধানের চারা রোপন শুরু করেন। নরসিংদী জেলা জুড়ে এখন চলছে ইরি বোরো ধানের চারা রোপনের মহোৎসব। তাই ইরি বোরো ধান চাষের উপর নরসিংদীর কৃষকরা জোর দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় ইরি বোরো ধান বেশি  লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । নরসিংদী কৃষকরা আমন ধান চাষ করতে না পারার ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে ইরি বোরো ধান আবাদ করে। যে কারণে পৌষ কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা হাড় কাঁপানো শীতের বৈরীতা উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মাঠের কাদা-জলে ভিজে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নরসিংদীর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানাযায়, এই জেলায় এ বছর প্রায় ৯০ হাজার ১১২ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে।  ইরি বোরো ধান চাষ মূলত ৮৫ হাজার ৯৪৮ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *