শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসির রমরমা ধান্দা !

শৈলকুপার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরির রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসির জমজমাট পিরিত* গভির রাতে গ্রামবাসির ধাওয়া* অস্ত্র উচিয়ে পালিয়ে রক্ষা* গ্রামছাড়া কিশোরী ও তার পরিবার*

ঝিনাইদহ  প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ১৩ জুলাই, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি’র বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্প পার্শ্ববর্তী মহিষগাড়ি গ্রামের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরির সাথে সে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে বাড়িতে নিয়মিত যাতায়ত করত টুআইসি এএসআই শিবু হালদার। তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে এমন অভিযোগ করছে গ্রামবাসী, এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

দীর্ঘদিন এ ঘটনা চলার এক পর্যায়ে গত ৯জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামের কিছু যুবক ঐ মেয়ের বাড়ি থেকে শিবু হালদারকে ধরে ফেলে। তাকে প্রহার শুরু করলে এক পর্যায়ে অস্ত্র উচিয়ে তাক করে বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হয় ক্যাম্পের এএসআই শিবু হালদার। সে সাদা পোষাকে ঐ বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। বেশীর ভাগ সময় শিবু হালদার নির্ধাতির সরকারী পোষাক না পরে সাদা পোষাকে এলাকায় অবস্থান করে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এদিকে সরেজমিনে, মহিষগাড়ি গ্রাম ও ক্যাম্পে গেলে ঘটনা সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্প পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ও ঘটনা সম্পর্কে কেউ কিছু বললে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছে। পুলিশের এ ঘটনা মহিষগাড়ি গ্রাম, মাইলমারি গ্রাম, শেখপাড়া, রামচন্দ্রপুর সহ কয়েক গ্রামের মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরছে। তারা এর তদন্ত সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ঐ কিশোরী সহ তাদের পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়েছে। তাদের বাড়িতে কাউকে দেখা যায়নি। ঘটনার পর থেকে পরিবারটি গ্রাম ছাড়া। এছাড়া ঘটনাকে পুঁজি করে সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতারক পক্ষে-বিপক্ষে মেয়ের নানা রকম বক্তব্য ভিডিও করে রেখেছে। ক্যাম্পেও অনেকে ফোন করে নিউজ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করছে বলে জানা গেছে।

গ্রামের অনেকে বলেছে সাংবাদিক পরিচয়ের কার্ড দেখিয়ে বা দেশী-বিদেশী বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয়ে মেয়ের পরিবার ও গ্রামবাসির বক্তব্য নিয়েছে, নানা কথা বলেছে কিন্তু পেপার পত্রিকার খবরে আসেনি, মোটা অংকের টাকায় সব ম্যানেজ হয়েছে বা তাদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

মধ্যরাতে ঐ কিশোরীর বাড়ি যাওয়া ও ঘটনা প্রসঙ্গে এএসআই শিবু হালদার জানিয়েছে, মেয়েটির মা একটি গাছ বিক্রি করবে, পূর্ব পরিচিতির সম্পর্ক ধরে তাদের বাড়িতে মধ্যরাতে নয় সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিল। তারপর একটি মিথ্যা ঘটনা কেউ কেউ সাজিয়েছে বলে তিনি পাল্টা দাবি করছেন।

আর রামচন্দ্রপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো: রিয়াজ হোসেন বলছেন আগের একটি আসামী ধরা কে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা হরিণাকুন্ডর একটি মহল শিবু হালদারের উপর অসন্তোষ ছিল। তাদের মাধ্যমে কিছু রটিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি এএসআই শিবু হালদারের কোন ত্রুটি বা দোষ খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *