রাজারহাটে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ২২ জুন, ২০২০ বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১২টি গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে করে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি ও বসতবাড়ি। হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পরেছে, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির সহ বিভিন্ন স্থাপনা। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন। আতঙ্কে রাত কাটছে তীরবর্তী মানুষদের। এমতাবস্থায় ভূক্তভোগীরা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবী জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ, চরবিদ্যানন্দ, গাবুরহেলান, তৈয়বখাঁ, রামহরি, রতি, চতুরা, কালির মেলা মৌজা, ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের চরখিতাবখাঁ, সরিষাবাড়ি, বুড়িরহাট, গতিয়াশাম মৌজা, নাজিমখাঁন ইউনিয়নের সোমনারায়ন ও হাসারপাড় মৌজার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

ভাঙ্গনে শতশত বিঘা ফসলি জমি চলে যাচ্ছে নদী গর্ভে। বাদাম, ভুট্রা, পাট ও শাক-সবজি ক্ষেত এবং বীজতলা নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ভাঙ্গন আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম হয়েছে নদী পাড়ের লোকজনের। ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গনে চতুরা গ্রামের আয়নাল হক, আহাম্মদ মুন্সি ও আব্দুর রেজ্জাক ও কালির মেলা গ্রামের আমজাদ হোসেন, হবিবর, আঃ রশিদ সহ ১৮টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে।

নদীতে পানি বৃদ্ধি ও নদী ভাঙ্গন কবলিত বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম সরেজমিনে পরিদর্শন করে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান, যেসব পয়েন্ট গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেইসব পয়েন্টগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। ওখানে যেসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার রয়েছে, তাদেরকে কোথায় সরানো যায় এব্যাপারে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছি । আমরা সেই জায়গাগুলোতে তাদেরকে সরানোর ব্যবস্থা করবো। এছাড়া সেখানে কোন সরকারী ভাবে সাপোর্ট দরকার হলে আমি ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টিন বা অন্যান্য সহায়তা দিব।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ যোবায়ের হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশিনার (ভূমি) মোছাঃ আকলিমা বেগম, রাজারহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *