বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় হাইকোর্টের রায় পড়া শুরু, ১০ হাজার পৃষ্ঠার রায়, এক হাজার পৃষ্ঠার পর্যবেক্ষণ

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংগঠিত বিদ্রোহে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় হাইকোর্টে রায় পড়া শুরু, বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে মামলাটি সকাল ১১টার দিকে পড়া শুরু করে, বেঞ্চের অপর দুই সদস্য বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। বহুল আলোচিত ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ ও ২৬ তারিখে তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তরে সংগঠিত বিদ্রোহের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ১৫২ আসামির মৃত্যুদন্ডের অনুমোদন (ডেথ রফারেন্স) ও সাজা বাতিলে আসামিপক্ষের আপিলের এ রায় পড়া শুরু হয়েছে। একই আদালতে ডেথ রেফারেন্স ও সাজা বাতিলে আসামিপক্ষের আপিলের রায় ছাড়াও দন্ডিতদের সাজা বৃদ্ধি এবং আসামীদের খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলেরও রায় দেয়া হবে।

এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেয়। এ মামলায় আসামি ছিলেন ৮৪৬ জন। সাজা হয় ৫৬৮ জনের। তাঁদের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদন্ড, ১৬০ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হয়েছিল। খালাস পেয়েছিলেন ২৭৮ জন। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। সে অনুয়ায়ি নিরাপত্তা জোরদারে আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরিচয় পত্র প্রদর্শন ও যৌক্তিক কারণ ব্যতিত সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

আসামীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ তৌহিদুল আলম আপিলকারীরা রায়ে ন্যায়বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সরোয়ার কাজল জানান, মোট একশ ২৪ কার্যদিবসে মামলায় পেপারবুক উপস্থাপন করা হয়। ৩৭০ কার্যদিবস মামলায় শুনানি হয়। তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক আসামি মারা গেছেন, ১৪ আসামি এখনো পলাতক। রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নাম পুনর্গঠন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *