বাঞ্ছারাম পুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী আক্তার হোসেন নয়ন দেবিদ্বার থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার

কুমিল্লা (দেবিদ্বার) প্রতিনিধি, জি,এম মাকছুদুর রহমান, ২৩ মার্চ ২০১৮ (বিডি ক্রাইম  নিউজ ২৪):  বি-বাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারাম পুর থানার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী আক্তার হোসেন নয়ন(৩৮) কুমিল্লার দেবিদ্বার থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক ভূয়া ঠিকানায় একাধিক মামলা রয়েছে ও আসামী ওই এলাকার আতঙ্ক বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা হলেই গা ঢাকা দিয়ে অন্যত্র চলে যায় এবং ওই এলাকায় গিয়ে একটি ভূয়া আইডি কার্ড বানিয়ে ফেলে।

তার মূল পরিচয়, নাম:মোঃ আক্তার হোসেন নয়ন। পিতা:মৃত:ওয়াহেদ তালুকদার, গ্রাম:হাসন নগর, থানা:বাঞ্ছারাম পুর, জেলা:বি-বাড়ীয়া। সে তার শ্বশুর কে বাবা ও শ্বাশুরী কে মা বানিয়ে নিজ নাম আক্তার হোসেন নয়নের স্থলে মোঃজমির হোসেন নাম দিয়ে শ্বশুর বাড়ীর ঠিকানায় একটি ভূয়া আইডি কার্ড বানিয়েছে বলেও জানা গেছে।

গা ঢাকা দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত ওই ঠিকানায় অবস্থান করে আসছে। ওই এলাকায় এসেও পূর্বের ন্যায় তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলমান রেখে আসছে। এলাকার লোক জন প্রতিবাদ করলে তাদের কে বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিচ্ছে। তার এই সংঘটিত কর্মকান্ডের ফলে শ্বশুর বাড়ীর লোক জনেরও সম্মানের হানি হচ্ছে।

সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে তার রয়েছে এক বিশাল সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক। শ্বশুর বাড়ী এলাকায় অবস্থান করেই বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ছিনতাই করার পর রাতের বেলায় পুনরায় স্থান নেয় ওই ভূয়া ঠিকানা শ্বশুর বাড়ীতে। রাতের বেলায় তার কিছু সংখ্যক সহযোগীদের নিয়ে রাত ভর করে যাচ্ছে মাদক নেশা। কেউ কিছু বলতে গেলে দিচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকী।

গত ২৩/০৩/২০১৮ ইং রাত ভোর ২:০০ ঘটিকায় দেবিদ্বার থানার এস আই মোঃ মোশারফ হোসেন  ও এস আই মোঃ সাইদুর রহমান এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিমের নেতৃত্বে শ্বশুর বাড়ীর ওই ভূয়া ঠিকানা দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ হতে আসামী কে গ্রেফতার করার পর সকাল ৬:৪৫মি:ঘটিকায় বাঞ্ছারাম পুর থানার  এস আই মোঃ আনিসুর রহমানের হাতে আসামীকে সোপর্দ করেন। বাঞ্ছারাম পুর থানা থেকে পরবর্তীতে আসামীকে বি-বাড়ীয়া জেলার জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *