ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ডাক্তার প্রবির মন্ডলের তেলেসমাতী কৌশলে ১২ বছর এক স্টেশনে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ,২৮  নভেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কি মধু আছে ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে? ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ডাক্তার প্রবির মন্ডলের তেলেসমাতী কৌশলে ১২ বছর কাটাচ্ছেন এক স্টেশনে। ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রবির কুমার মন্ডল ঠিক মতো অফিস করেন না। প্রসুতি মায়েরা তাকে না পেয়ে প্রতিনিয়ত ফিরে যাচ্ছেন। তবে তিনি চুটিয়ে ক্লিনিক বানিজ্য করেন বলে কথিত আছে। প্রসুতি মায়ের অজ্ঞানের উপর ট্রেনিং নিয়ে ডাঃ প্রবির ধুমছে যাবতীয় সব অপারেশন করে যাচ্ছেন। ফলে তার হাতে এ পর্যন্ত তিন জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে ২০০৫ সাল থেকে ডাঃ প্রবির কুমার মন্ডল ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে কর্মরত। সরকারী নির্দেশ মোতাবেক ২৪ ঘন্টা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে তার অবস্থান করার কথা। এ জন্য তার রয়েছে আবাসিক সুবিধা। কিন্তু তিনি ঝিনাইদহ শহরের মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মধ্যে বসবাস না করে থাকেন কালীগঞ্জ শহরে। সেখান থেকেই তিনি যাতায়াত করেন। ফলে সিজারিয়ান রোগীরা তাকে না পেয়ে প্রায় সময় ফেরৎ যায়। এ জন্য ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে প্রসুতি সিজারের চিত্র হতাশা জনক। চলতি বছরের ১১ মাসে মাত্র ৭ জনকে সিজার করা হয়েছে। গোবিন্দপুর গ্রামের আসমা খাতুন নামে এক প্রসুতি অভিযোগ করেন ডাঃ প্রবির মন্ডলকে অফিসে পাওয়া যায় না। কদাচিৎ যদিও তিনি আসেন তবে দুপুর হলেই তিনি ক্লিনিকে চলে যান।

প্রসুতি মায়েদের ফুসলিয়ে ক্লিনিকে ভাগানো হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার অফিসে গিয়েও ডাঃ প্রবিরকে পাওয়া যায়নি। তবে অফিস প্রধান ডাঃ তাঞ্জুয়ারা তাসলীম জানান, তিনি সাগান্না গেছেন ক্যাম্প করতে। তবে প্রতিদিনই তার ক্যাম্প আছে এমন অজুহাত তুলে ক্লিনিকে যাচ্ছেন অজ্ঞান করতে। চিকিৎসকদের একটি সুত্র জানায় ডাঃ প্রবির কুমার প্রসুতি মায়েদের অজ্ঞান করার উপর ট্রেনিং। কিন্তু তিনি টনসিল, গলবøাডার ও নানা জটিল রোগীকে অজ্ঞান করেন। ফলে ইতিমধ্যে ভুল চিকিৎসায় তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ হরিণাকুন্ডুর মোকিমপুর গ্রামের আব্দুল মতলেব লস্কার মৃত্যু হয়েছে। তার ছেলে মাসুম রানা অভিযোগ করেন, তার বাবাকে যথযথ ভাবে অজ্ঞান না করার কারণে সুস্থ মনুষটি তারা মেরে ফেলেছে। অভিযোগ উঠেছে, দুরবর্তী রোগীকে ভাসেকটমি ও লাইগেশন করতে ফ্রি কল্যান কেন্দ্রের এ্যম্বুলেন্স ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। ব্যবহার না করলে তিনি পাবেন ২৩’শ টাকা। কিন্তু তিনি সরকারী এ্যম্বুলেন্সও ব্যবহার করেন আবার ২৩’শ টাকাও তুলে নেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ বলেন, আমি কর্মস্থলে থাকার জন্য ডাঃ প্রবির কুমার মন্ডলকে মোখিক ও লিখিত ভাবে বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও অদ্যবধি তিনি কর্মস্থলে থাকছেন না। তিনি বলেন ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মধ্যে থাকার জন্য আবাসিক সুবিধা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *