নরসিংদীতে ৯দিন আটকে রেখে কিশোরীকে গণধর্ষণ, পুলিশি অভিযানে ৫ ধর্ষক গ্রেপ্তার
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৯ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে অপহরণকারী দলের মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাধবদী থানা পুলিশ। গত ৫ অক্টোবর শনিবার ওই কিশোরীকে মাধবদী থানার দরগাবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা। মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর পুত্র সুজন (২৭) ও তার সহযোগী একই থানার সাতগ্রাম গ্রামের মধু মিয়ার পুত্র রুবেল (২৬), ময়মনসিংহ সদর থানার রহমতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র মো: ফয়সাল মিয়া (২০), লালমনিরহাট সদরের চরকুলাঘাপ গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র আছাদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিশাত মোল্লার পুত্র শাকিল মোল্লা।
মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের দেওয়ান ও নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পরিবার সাংবাদিকদের জানান, ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে জেলার শিল্প অঞ্চল মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকার সড়ক থেকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত অপহরণকারী চক্র। চারদিন পর ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাবার মোবাইলে ফোন করে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় মেয়েকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে গত ১২ অক্টোবর এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন কিশোরীর পিতা।
মামলা করার পর মুক্তিপণ দাবী করা মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিশ। পরে রুবেল নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এসে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আটককৃত রুবেলের দেওয়া তথ্যমতে সাভারের গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আছাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপহরণকারী দলের মূলহোতা সুজন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং করে নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে সুজনকেও গ্রেফতার করা হয়।
মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের দেওয়ান বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে আদালত আসামীদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এঘটনার তীব্রনিন্দা ক্ষোভসহ বিচার দাবী করেন নরসিংদীর সুশীল সমাজ।