আবরার হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর একটি হলে খুন হওয়া আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা আজ বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। আবরারের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, ভাই আবরার ফায়াজ সাব্বির, চাচা ও মামা। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, আবরারের মা রোকেয়া খাতুন তার সন্তানের হত্যার পর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঘটনার পরে আপনি যে মাতৃসুলভ ভূমিকা পালন করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই। প্রেস সচিব বলেন, আবরারের মা কথাটি আট থেকে দশবার বলেন। আবরার হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিরা খুনিই, ‘অপরাধীরা অপরাধীই’কে কোন দলের তা আমি দেখিনি। শেখ হাসিনা আবরারের মা-বাবাকে বলেন, ‘আপনারা যা হারিয়েছেন তার জন্য সান্তনা দেয়ার ভাষা আমার নেই।

তিনি বলেন, দয়া করে আমার দিকে তাকান, আমি এক রাতে সবকিছু হারিয়েছি। আমি আপনজন হারানোর যন্ত্রণা বুঝি।আবরারের হত্যাকারীরা মানুষ নয়। ‘যার সাথে তারা বসে পড়ালেখা করছে তাকে তারা কিভাবে হত্যা করতে পারে? ঘটনার পরে পুলিশকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু বুয়েটের কিছু ছাত্র কেন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করলো তা আমার বোধগম্য নয়। গণভবনের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হওয়ার পর আবরারের মা তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে পরম মমতায় বেশ কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখেন এবং তাঁর জন্য নির্ধারিত চেয়ারের পরিবর্তে আবরারের মা’র পাশেই বসে পড়েন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ৭ অক্টোবর ভোর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে পিটিয়ে মারা হয়।

ওইদিন রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলে নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার মধ্যবর্তী স্থান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।আবরারের বাবা বরকত উল্লা এ ঘটনায় চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *